রবিবার 23 জুমাদাল আউওয়াল 1446 - 24 নভেম্বর 2024
বাংলা

নামাযে সূরা ফাতিহার আগে ‘বিসমিল্লাহ’ পড়ার বিধান

প্রশ্ন

আমি নামাযের প্রথম রাকাতে ছানা, আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়ি। এরপর সূরা ফাতিহা পড়ি। দ্বিতীয় রাকাতে আর ‘বিসমিল্লাহ’ পড়ি না। আলহামদুলিল্লাহ থেকে পড়া শুরু করি। নামাযে এ পদ্ধতিটি কি গ্রহণযোগ্য? যদি প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার আগে ‘বিসমিল্লাহ’ পড়া ওয়াজিব হয় সে ক্ষেত্রে এ মাসয়ালায় হানাফি মাযহাবের বক্তব্য কি?

আলহামদু লিল্লাহ।.

এক:

আলেমগণের একাধিক অভিমতের মধ্যে সবচেয়ে সঠিক হচ্ছে- আউজুবিল্লাহ পড়া সুন্নত এবং এর স্থান হচ্ছে প্রথম রাকাতে। ইতোপূর্বে 65847 নং প্রশ্নের উত্তরে সেটা উল্লেখ করা হয়েছে।

দুই:

সূরা ফাতিহার আগে বিসমিল্লাহ পড়া নামাযের একটি সুন্নত। ইতোপূর্বে 22186 নং প্রশ্নের উত্তরে সেটা বর্ণনা করা হয়েছে।

অতএব, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে অথবা ভুলক্রমে বিসমিল্লাহ পড়ল না তাকে সহু সেজদা দিতে হবে না। তবে বিসমিল্লাহ পড়া যদি তার সবসময়ের অভ্যাস হয়ে থাকে তাহলে ভুলে না পড়ে থাকলে সহু সেজদা দেয়াটা মুস্তাহাব। আর যদি অভ্যাস হয়ে না থাকে তাহলে সুন্নত নয়।

আরও জানতে 11207765847 নং প্রশ্নের উত্তর দেখুন।

আর যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দিয়ে থাকে তাহলে সহু সেজদা দিবে না। কারণ সহু সেজদা দিতে হয় কেউ ভুলক্রমে নামাযের কোন কথা বা কাজ ছেড়ে দিলে। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যদি তোমাদের কেউ ভুলে যায় তাহলে সে যেন দুইটি সেজদা দেয়।” [সহিহ মুসলিম (৫৭২)] তিন:

হানাফি মাযহাবেও ‘বিসমিল্লাহ’ পড়া সুন্নত।

‘আল-মাউসুআ আল-ফিকহিয়্যা’ গ্রন্থ (৮/৮৭) এ এসেছে, হানাফি মাযহাবের সারকথা হলো- প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার শুরুতে চুপে চুপে বিসমিল্লাহ পড়া ইমাম ও মুক্তাদি উভয়ের জন্য সুন্নত। সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরার মাঝখানে বিসমিল্লাহ পড়া আবু হানিফা ও আবু ইউসুফের নিকট সুন্নত নয়। যেহেতু বিসমিল্লাহ সূরা ফাতিহার অংশ নয়; বরং বরকতের জন্য সূরা ফাতিহার শুরুতে উল্লেখ করা হয়েছে...। সমাপ্ত

আল্লাহই ভাল জানেন।

সূত্র: ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব

সংশ্লিষ্ট প্রশ্নোত্তরসমূহ