আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
মিসওয়াক কিংবা টুথপেস্ট ব্যবহারে কি রোযা ভেঙ্গে যাবে?
আলহামদু লিল্লাহ।.
রোযা রেখে মিসওয়াক ও টুথপেস্ট ব্যবহার করা জায়েয। তবে এর কোন কিছু গিলে ফেলা থেকে সতর্ক থাকতে হবে। বরং রোযাদার ও বে-রোযদার সবার জন্য মিসওয়াক ব্যবহার করা সুন্নত।
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) বলেন:
“কোন মতভেদ ছাড়া মিসওয়াক ব্যবহার করা জায়েয। কিন্তু সূর্য পশ্চিমাকাশে হেলে পড়ার পর মিসওয়াক ব্যবহার করা মাকরূহ কিনা; এ ব্যাপারে তারা দুটো অভিমত ব্যক্ত করেছেন। এ দুটো অভিমতই ইমাম আহমাদ থেকে বর্ণিত আছে। কিন্তু এটি মাকরূহ হওয়ার সপক্ষে শরয়ি এমন কোন দলিল নেই; যা মিসওয়াক সংক্রান্ত দলিলগুলোর সার্বিকতাকে সংকুচিত করবে।”[আল-ফাতাওয়াল কুবরা (২/৪৭৪) থেকে সমাপ্ত]
ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির আলেমগণকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল:
রোযাদার কি সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন? তার জন্য দিনের বেলায় মিসওয়াক করা কি জায়েয? নারী কি মেহেদী ব্যবহার করতে পারেন কিংবা চুল আঁচড়ানোর জন্য তেল দিতে পারেন?
তারা জবাব দেন: “রোযাদার তার পোশাকে, কিংবা মাথায় পরিধেয়ের উপরে কিংবা শরীরে সুগন্ধি দিতে পারেন। তবে তিনি সুগন্ধি নাক দিয়ে গ্রহণ করবেন না। রোযদার দিনের বেলায় মিসওয়াক করতে পারেন। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যদি না আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর না হত তাহলে আমি প্রত্যেক নামাযের সময় তাদেরকে মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম”।[মুত্তাফাকুন আলাইহি] এই হাদিস রোযাদারের ও বে-রোযদারের যোহরের নামায ও আসরের নামাযকেও অন্তর্ভুক্ত করে। আমরা এমন কোন সহিহ দলিল জানি না যা এ সময়ে মিসওয়াক করা থেকে বারণ করে।
নারী মেহেদী দিতে পারেন কিংবা চুল আঁচড়ানোর জন্য চুলে তেল দিতে পারেন। যেহেতু এটি রোযার উপর কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না। অনুরূপভাবে পুরুষও রোযা রেখে শরীরে কোন ঔষধ বা অন্য কিছু মাখতে পারেন।”[সমাপ্ত][ফাতাওয়াল লাজনাদ দায়িমা (১০/৩২৮)]
শাইখ ইবনে বাযাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল: রোযাদারের টুথপেস্ট ব্যবহার করার হুকুম কি?
তিনি জবাব দেন: “মিসওয়াকের মত টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত পরিস্কার করলে রোযা ভাঙ্গবে না। তবে পেটের ভেতর কিছু চলে যাওয়া থেকে সতর্ক থাকতে হবে। যদি অনিচ্ছা সত্ত্বেও কোন কিছু ভেতরে চলে যায় সেক্ষেত্রে তাকে রোযাটি কাযা করতে হবে না।”[মাজমুউ ফাতাওয়াশ শাইখ ইবনে বায (১৫/২৬০) থেকে সমাপ্ত]
আল্লাহই সর্বজ্ঞ।