আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
একজন চাকুরীজীবী মুসলিম নারীর স্বামী মারা গেছেন। সে নারী এমন এক দেশে রয়েছেন যে দেশে কারো নিকটাত্মীয় মারা গেলে তাকে তিনদিনের বেশি ছুটি দেয় না। এমন পরিস্থিতিতে এ নারী কিভাবে ইদ্দত পালন করবেন? কেননা তিনি যদি শরিয়ত নির্দেশিত সময় ইদ্দত পালন করতে যান তাহলে চাকুরীচ্যুত হবে। এমতাবস্থায় জীবিকা অর্জনের স্বার্থে তিনি কি দ্বীনি আবশ্যক বিষয় বর্জন করবেন?
আলহামদু লিল্লাহ।.
তার উপর আবশ্যক হলো শরিয়ত নির্ধারিত সময় ইদ্দত পালন করা এবং ইদ্দত পালনকালীন গোটা সময়ে তিনি শরিয়ত নির্দেশিত শোক পালন করবেন। দিনের বেলা তিনি চাকুরীতে যেতে পারবেন। কেননা এটি তার গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনের অন্তর্ভুক্ত। মৃত স্বামীর ইদ্দত পালনকারী নারীর জন্য তার প্রয়োজনে দিনের বেলায় বের হওয়া জায়েয মর্মে আলেমদের প্রত্যক্ষ উক্তি রয়েছে। চাকুরী মানুষের গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনের অন্তর্ভুক্ত। যদি রাতে বের হওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে সেটাও তার জন্য জায়েয হবে; চাকুরী থেকে বরখাস্ত হওয়ার আশংকার মত জরুরী প্রেক্ষিতে। চাকুরী থেকে বরখাস্ত হলে তাকে যে ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে সেটা অজানা নয়; যদি সে চাকুরীটির মুখাপেক্ষী হয়। আলেমগণ ইদ্দত পালনকালীন সময়ে স্বামীর বাড়ী থেকে বের হওয়া জায়েয হওয়ার বেশকিছু কারণ উল্লেখ করেছেন। সে কারণগুলোর কোন কোনটি চাকুরীর জন্য বের হওয়ার চেয়ে তুচ্ছ। এ ক্ষেত্রে দলিল হলো আল্লাহ্তাআলার বাণী: “তোমরা সাধ্যানুযায়ী আল্লাহ্কে ভয় কর”।[সূরা তাগাবুন, ৬৪: ১৬] এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “যখন আমি তোমাদেরকে কোন নির্দেশ প্রদান করি তখন তোমাদের সাধ্যে যতটুকু আছে ততটুকু আদায় কর।”[হাদিসটি সর্বসম্মতিক্রমে সহিহ] আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞানী।[ফাতাওয়া বিন বায (২২/২০১) সমাপ্ত]
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।