আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
আলহামদু লিল্লাহ।.
নিঃসন্দেহে তারাবীর নামায সুন্নত এবং সেটি নফল। তারাবীর নামাযই হচ্ছে— রমযানের কিয়ামুল লাইল। অনুরূপভাবে সালাতুল লাইল (তাহাজ্জুদের নামায), সালাতুদ দোহা (চাশতের নামায), ফরয নামাযগুলোর শেষের সুন্নত নামায এগুলো সবই সুন্নত ও নফল নামায। যে নামাযগুলো ব্যক্তি চাইলে পড়তে পারেন; না চাইলে বাদ দিতে পারেন। তবে পড়াটা উত্তম।
তাই কেউ যদি ইমামের সাথে তারাবী পড়া শুরু করে এবং ইমাম সমাপ্ত করার পূর্বে সে ব্যক্তি চলে যেতে চায় এতে কোন অসুবিধা নাই। তবে ইমাম সমাপ্ত করার আগ পর্যন্ত ইমামের সাথে থাকাটাই উত্তম। ইমামের সাথে থাকলে তার জন্য গোটা রাত নামায পড়ার সওয়াব লেখা হবে। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: "যে ব্যক্তি ইমামের সাথে কিয়াম পালন করবে যতক্ষণ না ইমাম নামায সমাপ্ত করেন আল্লাহ্ তার জন্য গোটা রাত নামায পড়ার সওয়াব লিখে দিবেন।" তাই কেউ যদি ইমাম সম্পূর্ণ নামায শেষ করা পর্যন্ত ইমামের সাথে অবস্থান করে সে গোটা রাত কিয়ামুল লাইল পালন করার সওয়াব পাবে। আর যদি কয়েক রাকাত পড়ার পর চলে যায় এতেও কোন অসুবিধা নাই, কোন গুনাহ নাই। যেহেতু এটি নফল নামায।
মাননীয় শাইখ আব্দুল আযিয বিন বায (রহঃ)
ফাতাওয়া নুরুন আলাদ দারব (২/৯০১)