আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
কোন নেককার লোকের হাতে চুমু খাওয়া ও তার জন্য মাথা নোয়ানোর হুকুম কী?
আলহামদু লিল্লাহ।.
হাতে চুমু খাওয়া জমহুর আলেমের মতে মাকরুহ; বিশেষতঃ যদি সেটা অভ্যাস হয়। আর যদি মাঝে মধ্যে কোন কোন সাক্ষাতে করা হয় তাহলে এতে কোন অসুবিধা নাই। সেটা যদি কোন নেককার ব্যক্তির সাথে, নেককার আমীরের সাথে, পিতার সাথে কিংবা এমন মর্যাদার অন্য কারো সাথে করা হয় তাতে কোন অসুবিধা নাই। কিন্তু অভ্যাসে পরিণত করা মাকরূহ। দেখা হলেই অভ্যাসগতভাবে সবসময় করাকে কোন আলেম হারাম বলেছেন। কখনও কখনও করলে কোন অসুবিধা নাই।
পক্ষান্তরে, হাতের উপর সেজদা দেয়া: হাতের উপর সেজদা দেয়া এবং কপালকে হাতের উপরে রাখা এ ধরণের সেজদা হারাম। আলেমগণ এটাকে বলেন: ছোট সেজদা। এটি জায়েয নয় যে, সে তার কপাল কোন মানুষের হাতের উপরে রেখে সেজদা দিবে। এটি নাজায়েয। কিন্তু, মুখ দিয়ে চুমু খাওয়া জায়েয; যদি সেটা অভ্যাস না হয়। বরং কদাচিৎ কিংবা কম করা হয়। এতে অসুবিধা নাই। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত হয়েছে কোন কোন সাহাবী তাঁর হাত ও পায়ে চুমু খেয়েছেন। যদি এটি কদাচিৎ হয় তাহলে এ বিষয়টি সহজ। যদি অভ্যাসে পরিণত হয় তাহলে এটি মাকরুহ কিংবা হারাম।
আর মাথা নোয়ানো নাজায়েয। সে রুকুর ন্যায় মাথা নোয়ানো এটি জায়েয নয়। কেননা রুকু একটি ইবাদত। মাথা নোয়ানো জায়েয নয়। তবে মাথা নোয়ানো যদি সম্মানপ্রদর্শনের জন্য না হয়; বরং যেহেতু তিনি খাটো আর সালামকারী লম্বা তাই সালামকারী মাথা নোয়ায় যাতে করে তার সাথে মুসাফাহা করতে পারে। তাকে সম্মানপ্রদর্শনের জন্য নয়; বরং তিনি খাটো হলে, প্যারালাইজড হলে বা উপবিষ্ট হলে তাহলে তাতে কোন অসুবিধা নাই। তবে যখনই কেউ সম্মানপ্রদর্শনের জন্য মাথা নোয়াবে সেটা জায়েয হবে না। বরং এর দ্বারা সম্মানপ্রদর্শনের উদ্দেশ্য করলে শির্ক হওয়ার আশংকা আছে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে যে, তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল: ইয়া রাসূলুল্লাহ্! কোন লোকের সাথে সাক্ষাত হলে কি আমি তার জন্য মাথা নোয়াব? তিনি বললেন: না। লোকটি বলল: আমি কি তাকে আলিঙ্গন করব ও চুমু দিব? তিনি বললেন: না। লোকটি বলল: আমি কি তার হাত ধরব ও মুসাফাহা করব? তিনি বললেন: হ্যাঁ।” এ হাদিসটির সনদে দুর্বলতা আছে, সনদটি যদিও দুর্বল কিন্তু এর উপর আমল করা বাঞ্ছনীয়। কেননা এ অর্থের সমর্থনমূলক অনেক হাদিস রয়েছে। অনেক দলিল প্রমাণ করে যে, মানুষের জন্য মাথা নোয়ানো ও রুকু করা জায়েয নয়।
সারকথা: কোন মানুষের জন্য মাথা নোয়ানো জায়েয নয়; বাদশাহ হোক, কিংবা অন্য কোন মানুষ হোক। কিন্তু যদি সম্মানপ্রদর্শনের জন্য না হয়; বরং খাটো কাউকে, প্যারালাইজড কাউকে কিংবা উপবিষ্ট কাউকে সালাম দেয়ার জন্য হয় তাহলে এতে কোন অসুবিধা নাই।[সমাপ্ত]
মাননীয় শাইখ আব্দুল আযিয বিন বায (রহঃ)
[ফাতাওয়া নুরুন আলাদ দারব (১/৪৯১, ৪৯২)]