আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
জনৈক নারীর স্বামী বিয়ের আকদের পর বাসরের পূর্বে মারা গেছেন। এমতাবস্থায় এ নারী কি তার পরিবারের বাসায় ইদ্দত পালন করবেন যে বাসায় তিনি বসবাস করছেন? নাকি তাকে স্বামীর বাসায় স্থানান্তরিত হয়ে সেখানে ইদ্দত পালন করতে হবে? উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে তিনি সেখানে থাকেননি। স্বামীর পরিবার তাদের কাছে অবস্থান করে ইদ্দত পালন করতে কোন অসুবিধা নাই মর্মে তাকে জানিয়েছে।
আলহামদু লিল্লাহ।.
এক:
যে নারীর স্বামী আকদের পর বাসরের পূর্বে মারা গেছেন সে নারীর হুকুম পূর্ণ মর্যাদার স্ত্রীদের হুকুম। এই নারী পরিপূর্ণ দেনমোহর পাবেন ও মিরাছ (উত্তরাধিকার সম্পত্তি) পাবেন এবং তার উপর ইদ্দত পালন ওয়াজিব। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এভাবে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তাকে এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যিনি এক নারীকে বিয়ে করেছেন, তবে তার জন্য দেনমোহর নির্ধারণ করেননি ও তার সাথে বাসর করেননি; এর মধ্যে সেই ব্যক্তি মারা গেছেন। তখন তিনি বলেন: এ নারী অন্যান্য নারীদের মত দেনমোহর পাবেন; কমবেশি করা যাবে না। ইদ্দত পালন করা তার উপর ওয়াজিব এবং তিনি মিরাছ পাবেন। তখন মা’কিল বিন সিনান আল-আশজায়ি (রাঃ) বলেন: রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বুরু’ বিনতে ওয়াশিক নাম্নী আমাদের এক নারীর ব্যাপারে আপনি যেভাবে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন সেভাবেই সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন।[মুসনাদে আহমাদ ও সুনানে আরবাআ; তিরমিযি হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন এবং একদল আলেম হাসান বলেছেন]
[স্থায়ী কমিটির ফতোয়াসমগ্র (২০/৪১২) থেকে সমাপ্ত]
এই নারীর ইদ্দত পালনের সময়কাল হচ্ছে— চার মাস দশদিন।
দুই:
যে নারীর বাসর হওয়ার আগেই তার স্বামী মারা গেছেন তিনি নিজ পরিবারের বাড়ীতে ইদ্দত পালন করবেন; স্বামীর বাড়ীতে নয়। কেননা এটি সেই বাড়ী যেই বাড়ীতে থাকাকালেই তার স্বামী মারা গেছেন।
শাইখ উছাইমীনকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল:
এক মেয়ের বিয়ের আকদ হওয়ার পর বাসরের পূর্বে তার স্বামী মারা গেছেন; এই মেয়ে কোথায় ইদ্দত পালন করবেন?
জবাবে তিনি বলেন: সে তার পরিবারের বাড়ীতে ইদ্দত পালন করবে। যেহেতু সে তখনও তার স্বামীর বাড়ীতে স্থানান্তরিত হয়নি।[ছামারাতুত তাদওয়িন (পৃষ্ঠা-১১৬)
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।