আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
স্ত্রীর মৃত্যুর পর নির্দিষ্ট কোন সময় শোক ও দুঃখ পালন করা কি স্বামীর উপর ওয়াজিব?
আলহামদু লিল্লাহ।.
শোকপালন (ইহদাদ) মানে নির্দিষ্ট একটি সময় সাজসজ্জা ও সুগন্ধির ব্যবহার বর্জন করা। এটি নারীদের বৈশিষ্ট্য; পুরুষদের নয়। যে নারীর স্বামী মারা গেছেন তার উপর ইদ্দত পালন ও শোক পালন ওয়াজিব।
ইবনে কুদামা (রহঃ) বলেন:
“সদ্য বিধবা নারী সুগন্ধি ও সাজসজ্জা বর্জন করবে...। এটাকে শোকপালন বলা হয়। সদ্য বিধবা নারীর উপর এটি ওয়াজিব — এ ব্যাপারে আলেমদের কোন মতভেদ আছে মর্মে আমরা জানি না।”[আল-মুগনী (৮/১২৫)]
স্থায়ী কমিটির ফতোয়াসমগ্রতে (২০/৪৭৯) এসেছে:
“যে নারীর স্বামী মারা গেছেন তার উপর ইদ্দত পালন ও শোক পালন ওয়াজিব।”[সমাপ্ত]
পক্ষান্তরে, আলেমদের ইজমাক্রমে (সর্বসম্মতিক্রমে) পুরুষের উপর কোন শোকপালন নেই।
আল-মাওসুআ আল-ফিকহিয়্যা গ্রন্থে (২/১০৫) এসেছে: “তারা (আলেমগণ) এই মর্মে ইজমা (মতৈক্য) করেছেন যে, পুরুষের উপরে শোকপালন নেই।”[সমাপ্ত]
স্থায়ী কমিটির ফতোয়াসমগ্রে (১৯/১৫৬) এসেছে:
“আমরা যে অঞ্চলে আছি সেখানে একটি প্রথা আছে; তাহলো: কারো স্ত্রী মারা গেলে সে স্বামী ৬ মাস বা তদুর্ধ্ব সময়ের আগে দ্বিতীয় বিয়ে করে না। আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন: কেন? তারা বলবে: স্ত্রীর প্রতি সম্মানপ্রদর্শনস্বরূপ। ঘটনাক্রমে এক লোক তার স্ত্রী মারা যাওয়ার এক সপ্তাহ পরে বিয়ে করে ফেলে। মানুষ তার বিয়েতে যায়নি। এমনকি তারা এ লোককে সালাম পর্যন্ত দেয় না। স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে; এমনকি সেটা যদি একদিন পরেও হয় বিয়ে করা কি শরিয়তে অনুমোদিত; নাকি অনুমোদিত নয়?
জবাব: এটি একটি জাহেলী প্রথা। পবিত্র শরিয়তে এর কোন ভিত্তি নেই। তাই এ প্রথাটি বর্জন করা ও এটাকে বিবেচনা না করার জন্য একে অপরকে নসিহত করা বাঞ্চনীয়। যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর মৃত্যুর পরপর বিয়ে করেছে তার সাথে সম্পর্কচ্ছিন্ন করা জায়েয নয়। কেননা তা শরিয়ত প্রদত্ত অধিকার ছাড়া সম্পর্কচ্ছেদ।”[সমাপ্ত]
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।