আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
আলহামদু লিল্লাহ।.
আলহামদুলিল্লাহ।প্রশ্নের প্রথমাংশের জবাব জানার জন্য এ ওয়েব সাইটের ‘রোযা অধ্যায়’ এর অধীনে ‘তারাবী নামায ও লাইলাতুল ক্বদর’ পরিচ্ছেদ পড়া যেতে পারে।
আর তারাবী নামাযের শেষে সম্মিলিত দোয়া: এটি একটি বিদাত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি এমন কোন আমল করে যা আমাদের শরিয়তে নেই সেটা প্রত্যাখ্যাত।”[সহিহ মুসলিম (৩২৪৩)]
তারাবী নামাযের শেষে পড়ার জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি্ ওয়া সাল্লাম থেকে যা বর্ণিত হয়েছে তা হচ্ছে ‘সুবহানাল মালিকিল কুদ্দুস’ তিনবার বলা। তৃতীয়বারে উচ্চস্বরে বলা।উবাই বিন কাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى (সূরা আ’লা), قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ (সূরা কাফিরূন) ও قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ (সূরা ইখলাস) দিয়ে বিতিরের নামায আদায় করতেন। যখন সালাম ফিরাতেন তখন বলতেন, سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْقُدُّوسِ ، سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْقُدُّوسِ ، سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْقُدُّوسِ (‘সুবহানাল মালিকিল কুদ্দুস’, ‘সুবহানাল মালিকিল কুদ্দুস’, ‘সুবহানাল মালিকিল কুদ্দুস’) এবং তাঁর স্বর উঁচু করতেন।[মুসনাদে আহমাদ (১৪৯২৯), সুনানে আবু দাউদ (১৪৩০), সুনানে নাসাঈ (১৬৯৯), আলবানী ‘সহিহুন নাসাঈ’ গ্রন্থে (১৬৫৩) হাদিসটিকে ‘সহিহ’ আখ্যায়িত করেছেন]
তাছাড়া বিতিরের নামাযে ইমাম তো দোয়ায়ে কুনুত পড়বেন এবং ইমামের পিছনে মুসল্লিরা ‘আমীন’ বলবে; ঠিক যেভাবে উমর (রাঃ) এর যামানায় উবাই বিন কাব (রাঃ) যখন লোকদের নিয়ে তারাবী নামায আদায় করতেন তখন করতেন। সুতরাং সম্মিলিত মুনাজাতের বিদআতের পরিবর্তে এটাই তো যথেষ্ট। জনৈক কবি ঠিকই বলেছেন:
সালাফদের অনুসরণেই প্রভুত কল্যাণ, আর পরবর্তীদের নতুনত্বেই যত অকল্যাণ
আল্লাহ্ই ভাল জানেন।