আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
আমি আপনাদের ওয়েব সাইটে আরাফার দিন রোযা রাখার ফযিলত সম্পর্কে পড়েছি। কিন্তু, আমি যিলহজ্জ মাসের দশদিন রোযা রাখার ফযিলত সম্পর্কেও পড়েছি; এটা কি সঠিক?। যদি এটা সঠিক হয়ে থাকে তাহলে আপনি যদি আমাকে নিশ্চিত করতেন যে আমরা কি ৯ দিন রোযা রাখব; নাকি দশদিন। কেননা ১০ তম দিন ঈদের দিন?
আলহামদু লিল্লাহ।.
যিলহজ্জ মাসের ৯ দিন রোযা রাখা মুস্তাহাব। এর সপক্ষে প্রমাণ রয়েছে ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর হাদিসে: “অন্য যে কোন সময়ের নেক আমলের চেয়ে আল্লাহর কাছে এ দিনগুলোর নেক আমল অধিক প্রিয়। তারা (সাহাবীরা) বললেন: ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আল্লাহর পথে জিহাদও নয়? তিনি বলেন: আল্লাহর পথে জিহাদও নয়; তবে কোন লোক যদি তার জানমাল নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে এবং কোন কিছু নিয়ে ফেরত না আসে সে ব্যতীত।”[সহিহ বুখারী (৯৬৯)] হুনাইদা বিন খালেদ তার স্ত্রী থেকে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কোন একজন স্ত্রী থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন: “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৯ই যিলহজ্জ, আশুরার দিন এবং প্রতিমাসে তিনদিন রোযা রাখতেন: মাসের প্রথম সোমবার ও যে কোন দুই বৃহঃষ্পতিবার।[মুসনাদে আহমাদ (২১৮২৯), সুনানে আবু দাউদ (২৪৩৭), ‘নাসবুর রায়াহ’ গ্রন্থে (২/১৮০) হাদিসটিকে দুর্বল বলা হয়েছে; আলবানী সহিহ বলেছেন]
আর ঈদের দিন রোযা রাখা হারাম। এর সপক্ষে প্রমাণ হচ্ছে আবু সাঈদ খুদরি (রাঃ) এর মারফু হাদিস: “ঈদুল ফিতরের দিন ও কোরবানির দিন রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন” [সহিহ বুখারী (১৯৯২) ও সহিহ মুসলিম (৮২৭)]। এ দুইদিন রোযা রাখা ‘হারাম’ হওয়া মর্মে আলেমগণ ইজমা (ঐক্যমত) করেছেন।
এ দশদিনে নেক আমল করা অন্য যে কোন দিন নেক আমল করার চেয়ে বেশি মর্যাদাপূর্ণ। তবে, রোযা রাখা যাবে শুধু ৯ দিন। ১০ ই যিলহজ্জ ঈদের দিন। ঈদের দিনে রোযা রাখা হারাম।
এ আলোচনার আলোকে ‘যিলহজ্জের দশদিন রোযা রাখার ফযিলত’ এমন শিরোনাম দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে- শুধু ৯ দিন রোযা রাখা। ৯ দিনকে ১০ দিন বলা হয়েছে তাগলিবের ভিত্তিতে (অর্থাৎ দশকের ভগ্নাংশকে দশক হিসেবে উল্লেখ করার ভিত্তিতে)।[দেখুন: ইমাম নববী কৃত সহিহ মুসলিমের ব্যাখ্যাগ্রন্থ; হাদিস নং- (১১৭৬)]