আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
আমি ও আমার ভাই আমরা এক ঘরে থাকি। ঈদ উপলক্ষে আমরা একটি পূর্ণবয়স্ক ভেড়া জবাই করতে চাই, ইনশাআল্লাহ। আর অন্য একটি পশু আমরা সদকা করে দিব; জবাই করব না। আমাদের উপর দুটো ভেড়া জবাই করা কি ওয়াজিব? নাকি ওয়াজিব নয়।
আলহামদু লিল্লাহ।.
আপনাদের ক্ষেত্রে শরিয়তের বিধান হচ্ছে- আপনারা দুইজনে দুইটি পশু জবাই করবেন। একটি পশুতে অংশীদারিত্ব যথেষ্ট নয়। যেহেতু আপনি আপনার ভাই থেকে স্বতন্ত্র হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কোরবানি করার শর্তাবলি আমরা 96741 নং প্রশ্নোত্তরে উল্লেখ করেছি।
সেখানে আমরা কোরবানির হুকুমের ব্যাপারে আলেমদের মতভেদও উল্লেখ করেছি। অধিকাংশ মাযহাবের আলেমের মতে, কোরবানি- ‘সুন্নতে মুয়াক্কাদা’। আর কিছু কিছু ফিকাহবিদের মতে, কোরবানি ওয়াজিব।
আলেমগণ আরও উল্লেখ করেছেন যে, কোরবানির পশু জবাই করা পশুর মূল্য দান করার চেয়ে উত্তম। সুতরাং আপনি কোরবানি করে কোরবানির গোশত দান করে দিতে পারেন। কিংবা আপনি এমন কোন দেশে বা অঞ্চলে কোরবানির পশু জবাই করার জন্য কাউকে দায়িত্ব দিতে পারেন যেখানে মানুষের প্রয়োজন বেশি।
‘মাতালিবু উলিন নুহা’ গ্রন্থে (২/৪৭৩) বলেছেন: “কোরবানির পশু ও আকিকার পশু জবাই করা পশুর মূল্য সদকা করার চেয়ে উত্তম। এটি ইমাম আহমাদ (রহঃ) এর স্পষ্ট উক্তি। অনুরূপ কথা ‘হাদি’(হাজিদের জবাইকৃত পশু) এর ক্ষেত্রেও...। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে কোরবানি করেছেন এবং ‘হাদি’ এর পশু প্রেরণ করেছেন। তাঁর পরবর্তীতে খুলাফায়ে রাশেদিনও করেছেন। যদি পশুর মূল্য সদকা করে দেওয়া উত্তম হত তাহলে তাঁরা সেটাই করতেন।[সমাপ্ত]
আল্লাহ্ই ভাল জানেন।