বৃহস্পতিবার 27 জুমাদাল আউওয়াল 1446 - 28 নভেম্বর 2024
বাংলা

নামাযে কোন নারীর পায়ের পাতাদ্বয় ঢাকার হুকুম

প্রশ্ন

নামাযে কোন নারীর পায়ের পাতাদ্বয় ঢাকা ওয়াজিব হওয়ার পক্ষে কোন দলিল আছে কি?

উত্তর

আলহামদু লিল্লাহ।.

কোন স্বাধীন শরয়ি ভারপ্রাপ্ত (মুকাল্লাফ) নারীর ওপর নামাযে তার সারা শরীর ঢেকে রাখা ওয়াজিব; কেবল চেহারা ও দুই হাতের কব্জিদ্বয় ছাড়া। কেননা নারীর গোটা দেহ সতর (আচ্ছাদন যোগ্য)। যদি কোন নারী এমন অবস্থায় নামায পড়ে যে, তার সতরের কোন একটি অংশ যেমন পায়ের গোছা, পায়ের পাতা, মাথা বা মাথার কিয়দাংশ প্রকাশ হয়ে গেছে তাহলে তার নামায সহিহ হবে না। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: খিমার পরিধান ছাড়া আল্লাহ্‌ কোন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর নামায কবুল করেন না[মুসনাদে আহমাদ ও সুনান গ্রন্থসমূহে সহিহ সনদে বর্ণিত; কেবল সুনানে নাসাঈ ছাড়া]

এবং যেহেতু সুনানে আবু দাউদ-এ উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে: কোন নারীর জামা ও খিমার পরে, নিম্নাংশে পরিধেয় পোশাক ছাড়া নামায পড়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন? তখন তিনি বলেন: নারীর গোটা অংশ সতর।

চেহারার ব্যাপারে সুন্নাহ হলো: নামাযে চেহারা খোলা রাখা; যদি সেখানে কোন গাইরে মাহরামের উপস্থিতি না থাকে।

আর পায়ের পাতাদ্বয় ঢাকা জমহুর (অধিকাংশ) আলেমের মতে, ওয়াজিব। কোন কোন আলেম পায়ের পাতা খোলা রাখার অনুমতি দেন। কিন্তু জমহুর আলেম খোলা রাখাকে হারাম মনে করেন এবং ঢেকে রাখাকে ওয়াজিব বলেন। যেহেতু আবু দাউদ উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে হাদিস সংকলন করেছেন যে, তিনি এমন নারীর ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হয়েছিলেন: যে নারী খিমার ও কামিজ পরে নামায পড়ে? তখন তিনি বলেছিলেন: যদি কামিজ পায়ের পাতাদ্বয় ঢেকে রাখে তাহলে অসুবিধা নেই।” তাই সর্বাবস্থায় পায়ের পাতাদ্বয় ঢাকা উত্তম ও অধিক সতর্কতা।

আর হাতের কব্জিদ্বয়ের বিষয়ে প্রশস্ততা রয়েছে। যদি হাতের কব্জিদ্বয় খোলা রাখে তাতে কোন অসুবিধা নেই। আর যদি ঢেকে রাখে তাতেও কোন অসুবিধা নেই। কোন কোন আলেমের মতে, কব্জিদ্বয় ঢেকে রাখা উত্তম। আল্লাহ্‌ই তাওফিকের মালিক।

সূত্র: শাইখ বিন বায-এর ‘ফাতাওয়াল মারআল মুসলিমা’ পৃষ্ঠা-৫৭