বৃহস্পতিবার 27 জুমাদাল আউওয়াল 1446 - 28 নভেম্বর 2024
বাংলা

তালিবুল ইলমের আদবসমূহ

প্রশ্ন

আল্লাহ্‌ আমার প্রতি ইল্‌ম অন্বেষণ শুরু করার অনুগ্রহ করেছেন। আপনারা আমাকে কি কি শিষ্টাচারে ভূষিত হওয়ার নসীহত করবেন?

উত্তর

আলহামদু লিল্লাহ।.

নিশ্চয় ইল্‌ম অর্জনের বেশ কিছু আদব রয়েছে; একজন তালিবুল ইল্‌মের সে আদবগুলোতে সুশোভিত হওয়া উচিত। আমরা আপনার সমীপে সে আদব ও উপদেশগুলো পেশ করছি; আশা করি আল্লাহ্‌ সেগুলোর মাধ্যমে আপনাকে উপকৃত করবেন:

এক:

ধৈর্য: প্রিয় ভাই, নিঃসন্দেহে ইল্‌ম অর্জন উচ্চ মর্যাদার বিষয়। পরিশ্রমের সিঁড়ি না পেরিয়ে উচ্চ শিখরে পৌঁছা যায় না। কবি আবু তাম্মাম নিজেকে সম্বোধন করে বলেন:

ছেড়ে দে আমায়, আমি মর্যাদার শীর্ষে পৌঁছতে চাই্, সাধারণতঃ যেথায় পৌঁছা যায় না। কঠিন শিখরে পৌঁছতে হয় কাঠিন্য পার হয়ে, সহজ স্তরে পৌঁছা যায় সহজে। তুমি সস্তা পথে উচ্চ শিখরের নাগাল পেতে চাও? মধু খেতে হলে মধুকরের হুলে বিদ্ধ হতে হয়।

অন্য এক কবি বলেন:

তুমি বৃদ্ধের গতিতে মর্যাদার পানে আগাচ্ছ। অথচ অন্যেরা কষ্টের চূড়ান্তে পৌঁছে লুঙ্গি ফেলে রেখে ছুটে চলছে। মর্যাদার লক্ষ্যপানে কঠিন পরিশ্রম করে তাদের অধিকাংশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। মর্যাদার নাগাল তারাই পায় যারা অধ্যাবসায় চালিয়ে যায় ও ধৈর্য রাখে। তুমি মর্যাদায় পৌঁছাকে খেজুর খাওয়ার মত সহজ মনে করো না। বরং তুমি তিতা ঔষুধ চেটে খাওয়া ব্যতীত মর্যাদার সীমানায় পৌঁছতে পারবে না।

সুতরাং ধৈর্য ধর, অধ্যবসায়ী হও। কারণ জিহাদের সবর হয় সামান্য কিছু সময়ের জন্য; কিন্তু তালিবুল ইল্‌মকে জীবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত ধৈর্য ধরতে হয়। আল্লাহ্‌ তাআলা বলেন: “হে ঈমানদারগণ, তোমরা ধৈর্য ধারণ কর, ধৈর্যে প্রতিযোগিতা কর এবং সর্বদা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাক, আর আল্লাহ্‌ ভীতি অবলম্বন কর যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।”[সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ২০০]

দুই: কর্মনিষ্ঠা

আপনি নিষ্ঠার সাথে কর্ম করুন। আপনার উদ্দেশ্য যেন হয় আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি ও পরকাল; লৌকিকতা ও সঙ্গি-সাথীদের উপরে উঠার লিপ্সা থেকে বেঁচে থাকুন। কারণ রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি জ্ঞানার্জন করে আলিমদের ওপর গৌরব করার জন্য অথবা জাহিল-মূর্খদের সাথে তর্ক-বিতর্ক করার জন্য অথবা মানুষকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য; আল্লাহ তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।”[সুনানে নাসাঈ (২৬৫৪), আলবানী সহিহুন নাসাঈ গ্রন্থে হাদিসটিকে হাসান বলেছেন]

মোটকথা আপনার ভেতর ও বাহির বড়-ছোট সব ধরণের গুনাহ থেকে পবিত্র হতে হবে।

তিন: ইল্‌ম অনুযায়ী আমল করা:

জেনে রাখুন, আমল হচ্ছে– ইল্‌মের ফলাফল। যে ব্যক্তি ইল্‌ম অর্জন করল কিন্তু আমল করল না সে ব্যক্তি ইহুদীদের মত; আল্লাহ্‌ কুরআনে যাদের ক্ষেত্রে সর্বনিকৃষ্ট উদাহরণ টেনে এনেছেন। তিনি বলেন: “যাদেরকে তওরাত দেয়া হয়েছিল, অতঃপর তারা এর অনুসরণ করেনি, তাদের দৃষ্টান্ত সেই গাধা; যে পুস্তক বহন করে, যারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলে, তাদের দৃষ্টান্ত কত নিকৃষ্ট। আল্লাহ জালেম সম্প্রদায়কে পথ প্রদর্শন করেন না।”[সূরা জুমুআ, আয়াত: ৫]

আর যে ব্যক্তি ইল্‌ম ছাড়া আমল করে সে খ্রিস্টানদের মত। যাদেরকে সূরা ফাতিহাতে পথভ্রষ্ট বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

আপনি যে যে কিতাবগুলো পড়বেন সে সম্পর্কে ইতিপূর্বে 20191 নং প্রশ্নোত্তরে উল্লেখ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিধায় সে উত্তরটি পড়ে নিন।

চার:

আল্লাহ্‌ আপনাকে পর্যবেক্ষণ করছেন এ অনুভুতি লালন করা: প্রকাশ্যে ও গোপনে সর্বদা আল্লাহ্‌ আপনাকে পর্যবেক্ষণ করছেন এটা মনে জাগ্রত রাখা উচিত। ভয় ও আশা এ দুয়ের মাঝে আপনি আপনার রবের দিকে আগাচ্ছেন। একজন মুমিনের জন্য এ দুটো গুণ পাখির দুই ডানার তুল্য। পরিপূর্ণভাবে আল্লাহ্‌ অভিমুখী হোন; যাতে করে আপনার অন্তর আল্লাহ্‌র ভালবাসায় ভরপুর হয়ে উঠে, আপনার জিহ্বা যিকিরে পরিপূর্ণ হয়ে উঠে। আল্লাহ্‌র বিধান ও গূঢ় রহস্যগুলো জেনে আনন্দ-খুশি-উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠে। প্রত্যেক সিজদাতে গিয়ে আল্লাহ্‌র কাছে বেশি বেশি দোয়া করুন যেন আল্লাহ্‌ আপনার জন্য ইল্‌মের দ্বার খুলে দেন, আপনাকে উপকারী ইল্‌ম দান করেন। নিশ্চয় আপনি যদি আল্লাহ্‌র সাথে বিশ্বস্ত হন আল্লাহ্‌ আপনাকে তাওফিক দিবেন, আপনাকে রাব্বানী আলেমদের মর্যাদায় পৌঁছিয়ে দিবেন।

পাঁচ: সময়ের সদ্ব্যবহার করা:

ওহে বুদ্ধিমান, আপনার যৌবনকে, জীবনকালকে ইল্‌ম অর্জনে দ্রুত কাজে লাগান। এই তো করব, আগামীতে করব এ ধরণের ধোকা যেন আপনাকে প্রবঞ্চিত না করে। আপনার জীবন থেকে যে ঘণ্টাটি চলে যাচ্ছে সেটার কোন প্রতিস্থাপন নেই, সেটার কোন বদলি নেই। আপনার পারিপার্শ্বিক ব্যস্ততা, লক্ষ্যপানের পথে প্রতিবন্ধকতা, সর্বোচ্চ পরিশ্রম ও উদ্দীপনা বিনিয়োগের রাস্তায় বাধা-বিপত্তি যতটুকু সম্ভব সরিয়ে ফেলুন। কেননা এ বাধাগুলো হচ্ছে– যাত্রাপথের দস্যুর মত। এ কারণে সলফে সালেহীন পরিবার থেকে দূরে ও স্বদেশ ত্যাগ করে ইল্‌ম হাছিল করাকে মুস্তাহাব মনে করতেন। কেননা চিন্তা-ভাবনা যদি বিক্ষিপ্ত হয়ে যায় সেটা গূঢ় রহস্য ও সূক্ষ্ম তত্ত্ব বুঝার ক্ষেত্রে অযোগ্য হয়ে পড়ে। আল্লাহ্‌ তাআলা একজন লোকের অন্তরে দুটো অন্তর রাখেননি। আরও বলা হয় আপনি যদি ইল্‌মকে আপনার পুরাটুকু না দেন ইল্‌ম আপনাকে সামান্যটুকুও দিবে না।

ছয়: সতর্কতা:

ইল্‌ম অর্জনের সূচনালগ্নে আপনি আলেমদের মতভেদ কিংবা সাধারণ মানুষের মতভেদের পেছনে পড়বেন না। কারণ এটি স্মৃতিকে হয়রান করে ফেলে, বিবেক-বুদ্ধিকে কিংকর্তব্যবিমূঢ় করে দেয়। নানাবিধ কিতাবপুস্তক থেকেও আপনি সতর্ক থাকবেন। কেননা এতে আপনার সময় নষ্ট হয়ে যাবে এবং আপনার চিন্তা বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়বে। বরং আপনি যে কিতাব পড়ছেন বা যে বিষয়টি পড়ছেন সেটাকে আত্মস্থ করার জন্য আপনার সমস্ত শক্তি নিয়োগ করুন। কোন কারণ ছাড়া এক কিতাব থেকে আরেক কিতাবে স্থানান্তরিত হওয়া থেকে সতর্ক থাকুন। কারণ এটি অস্বস্তি ও বিফলতার আলামত। আপনার উচিত প্রত্যেক শাস্ত্রের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর উপর গুরুত্ব দেয়া, এরপর এর চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া।

সাত:

পাকাপোক্তভাবে মুখস্ত করা: আপনি যা মুখস্ত করতে চান সেটা কোন শাইখের তত্ত্বাবধানে কিংবা অন্য কারো সহযোগিতা নিয়ে সুনিপুনভাবে শুদ্ধ করে নিতে সচেষ্ট হোন; এরপর পোক্তভাবে মুখস্ত করুন। এরপর দিনের নির্দিষ্ট একটি সময়ে বারবার আওড়াতে থাকুন যাতে করে আপনি যা মুখস্ত করেছেন তা ভুলে না যান।

আট:

কিতাব অধ্যয়ন: আপনি ছোট ছোট পুস্তিকাগুলো মুখস্ত করা, এগুলোর ব্যাখ্যা আত্মস্থ করা এবং এগুলোর মধ্যে যেসব গুরুত্বপূর্ণ জটিলতা ও ফায়েদা রয়েছে সেগুলো রপ্ত করার পর আপনি বড় কলেবরের কিতাবপত্র অধ্যয়নে মনোনিবেশ করবেন। সার্বক্ষণিক পড়াশুনায় থাকবেন। যখনই কোন মূল্যবান ফায়েদা, সূক্ষ্ম মাসয়ালা, বিরল শাখা মাসয়ালা, কোন জটিলতার সমাধান কিংবা সমজাতীয় বিধানগুলোর মাঝে পার্থক্য আপনার নজরে পড়বে সাথে সাথে সেটা নোট করবেন। এটা সকল শাস্ত্রের ক্ষেত্রেই। কোন একটি ফায়েদা শুনলে কিংবা কোন একটি কায়েদা জানলে আপনি সেটাকে ছোট মনে করবেন না; বরং সাথে সাথে সেটা নোট করবেন এবং মুখস্ত করে নিবেন।

ইল্‌ম অর্জনের ক্ষেত্রে আপনার উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকা চাই। তাই আপনার বেশি ইল্‌ম অর্জন করার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও অল্পেতে তুষ্ট হবেন না। নবীদের মীরাছ সামান্যটুকু পেয়ে আপনি তৃপ্ত হবেন না। কোন একটি ফায়েদা অর্জন করার সুযোগ থাকলে সেটা হাত ছাড়া করবেন না। আগামীতে শিখব এ ধোকা যেন আপনাকে প্রবঞ্চিত না করে। কারণ রেখে দেয়ার অনেক সংকট আছে। আর আপনি বর্তমান সময়ে যদি এই ফায়েদাটা শিখে ফেলতে পারেন দ্বিতীয় সময়ে আপনি অন্য কিছু শিখতে পারবেন।

বেকারত্ব কিংবা দায়িত্বের প্রতিবন্ধকতা আসার পূর্বে আপনি আপনার অবসর ও কর্মোদ্দীপনাময় সময়কে কাজে লাগান। সুস্থতা ও যৌবনকালকে গনীমত মনে করুন। আপনার স্মৃতির নির্মলতা ও ব্যস্ততার স্বল্পতাকে সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করুন।

আপনার যে কিতাবগুলো প্রয়োজন সেগুলো পাওয়ার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করুন। কেননা কিতাব হচ্ছে– ইল্‌ম অর্জনের মাধ্যম। কোন উপকার ছাড়া বেশি বেশি কিতাব সংগ্রহ করা যেন আপনার ইল্‌মী অর্জন না হয়, আপনার বোধশক্তির অংশ না হয়। বরং আপনার কর্তব্য হচ্ছে– সাধ্যানুযায়ী কিতাবগুলো থেকে ফায়েদা নেয়ার চেষ্টা করা।

নয়: সঙ্গি নির্বাচন করা:

আপনি একজন নেককার ও ইল্‌ম নিয়ে ব্যস্ত থাকে, স্বভাব প্রকৃতি ভাল এমন সঙ্গি গ্রহণে সচেষ্ট হোন; যে বন্ধু আপনাকে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করবে। কোন ফায়দা ছুটে গেলে সেটা পূর্ণ করতে সহযোগিতা করবে। অধিক ইল্‌ম অর্জনে আপনাকে উদ্বুদ্ধ করবে। আপনার বিরক্তি দূর করবে। সে যেন স্বীয় দ্বীন-ধর্মের ব্যাপারে এবং উন্নত চরিত্রের ব্যাপারে বিশ্বস্ত হয়। আল্লাহ্‌র জন্য উপদেশদাতা হয়।[দেখুন: ইবনে জামাআর ‘তাযকিরাতুস সামে’]

অসৎ সঙ্গি থেকে দূরে থাকবেন। কেননা মানুষের স্বভাব-প্রকৃতি অন্যের দ্বারা সংগোপনে প্রভাবিত হয়। মানুষ হচ্ছে- পাখির ঝাঁকের মতন; একটা আরেকটাকে অনুকরণ করে থাকে। এমন কোন সঙ্গির সঙ্গিত্ব থেকে সাবধান থাকুন। কেননা এটি রোগতুল্য। এতে আক্রান্ত হওয়ার আগেই প্রতিহত করা সহজ।

দশ:

উস্তাদের সাথে আদব রক্ষা করা: প্রাথমিক স্তরের ইল্‌ম কিতাবের বুক থেকে গ্রহণ করা যায় না। বরঞ্চ অবশ্যই একজন শাইখ থেকে নিতে হয়; মৌলিক জ্ঞানগুলো যার রপ্ত আছে; যাতে করে স্খলন থেকে নিরাপদ থাকা যায়। আপনার কর্তব্য হচ্ছে– শাইখের সাথে আদব রক্ষা করে চলা। কেননা এটাই হচ্ছে– আপনার কল্যাণ, সফলতা এবং ইল্‌ম হাছিলের চাবিকাঠি। আপনার শাইখ যেন আপনার সম্মান, মর্যাদা ও কোমল আচরণের পাত্র হন। আপনি আপনার শাইখের সাথে যাবতীয় আদব রক্ষা করে চলবেন: তাঁর সাথে বসার ক্ষেত্রে, কথা বলার ক্ষেত্রে, প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে, শ্রবণ করার ক্ষেত্রে, তার সামনে কিতাবের পৃষ্ঠা উল্টানোর ক্ষেত্রে, তার সামনে উচ্চবাচ্য পরিত্যাগ করার ক্ষেত্রে, কোন কথা বা হাঁটার মাধ্যমে তাঁর অগ্রবর্তী না হওয়া, তার সামনে অধিক কথা না বলা, নিজের কথা দিয়ে তার দরসের মধ্যে সংযোজনী না দেয়া, কোন জবাব দেয়ার জন্য চাপাচাপি না করা, অধিক প্রশ্ন না করা বিশেষতঃ অনেক মানুষের উপস্থিতিতে। কেননা এটি আপনাকে প্রবঞ্চিত করবে, আপনার বিরক্তির উদ্রেক করবে। আপনি শাইখকে তার নাম ধরে বা কুনিয়ত ধরে ডাকবেন না। বরং এভাবে বলবেন: ইয়া শাইখি (হে আমার শাইখ) কিংবা বলবেন: ইয়া শাইখানা (হে আমাদের শাইখ)।

যদি আপনার কাছে শাইখের কোন ভুল চোখে পড়ে কিংবা কোন বিস্মৃতি ধরা পড়ে তাহলে এটার কারণে আপনার চোখে যেন শাইখের মর্যাদা খাটো হয়ে না যায়। কেননা এটি আপনার ইল্‌ম থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণ। ভুল থেকে বাঁচতে পারেন এমন কেউ কি আছে?।[দেখুন: শাইখ বাকর আবু যায়েদ এর ‘হিলাতু তালিবুল ইল্‌ম]

আমরা আল্লাহ্‌র কাছে আমাদের জন্য ও আপনাদের জন্য তাওফিক ও অবিচলতা প্রার্থনা করছি। তিনি যেন আমাদেরকে সেই দিনটি দেখান যেই দিন আপনি আলেম হবেন, আল্লাহ্‌র দ্বীনের জন্য সকলের রেফারেন্স হবেন, মুত্তাকীদের ইমাম হবেন। আমীন... আমীন। নিকটবর্তী কোন সাক্ষাতে আবার দেখা হবে। ওয়াস সালাম।

সূত্র: শাইখ মুহাম্মদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ