Islam QA ওয়েবসাইটের জন্য দান করুন

আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্‌ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।

তারা দু’জন শীঘ্রই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে এরপর স্ত্রী দুই বছরের জন্য দূরবর্তী একদেশে সফরে যাবেন

29-10-2015

প্রশ্ন 131865

প্রশ্ন: কোন নারীর জন্যে কি ভিনদেশী পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া জায়েয হবে; এরপর স্ত্রী দুই বছরের জন্য নিজের দেশে ফিরে আসবেন যাতে কাগজপত্র ঠিক করে তার স্বামীকে নিয়ে আসতে পারেন এবং স্বামী সে দেশে থাকতে পারে।

উত্তর

আলহামদু লিল্লাহ।.

আলহামদুলিল্লাহ।

এক দেশের নারীর সাথে অন্য দেশের পুরুষের বিয়ে হওয়াতে শরিয়তে কোন বাধা নেই। এ বিষয়ে জানতে 130596 নং প্রশ্নোত্তরটি দেখুন।

তবে কোন স্ত্রীর জন্যে তার স্বামীর দেশ ছেড়ে দুই বছর অনুপস্থিত থাকার ক্ষেত্রে: স্বামী-স্ত্রী কিসের উপর একমত হয়েছেন ও সম্মত হয়েছেন সেটা দেখাই হচ্ছে- মূল বিধান। কারণ স্বামীর অধিকার হচ্ছে- সে যেখানে থাকে স্ত্রীকে সেখানেই রাখবে। যদি স্বামী এ অনুপস্থিতিকে মেনে নেয় তাহলে কোন আপত্তি নেই।

আমরা আপনাকে পরামর্শ দিব স্বামী যদি রাজিও হয় এ দীর্ঘ সময় আপনি স্বামী থেকে দূরে থাকবেন না। কারণ এর অনেক ক্ষতিকর দিক রয়েছে এবং এ কারণে নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়; যে সমস্যাগুলো অনেক সময় বিয়ের আগে দেখা দেয় না।

শাইখ বিন বায (রহঃ) স্বামী-স্ত্রী পরস্পর দূরে থাকার ক্ষতিকর দিক উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন: এ দীর্ঘসময়ের দূরত্ব আপনার জন্য ও তার জন্য ক্ষতিকর। আপনার উচিত ফাঁকে ফাঁকে স্ত্রীর কাছে যাওয়া ও কিছু সময় তার কাছে থাকা। প্রতি ৩ মাস বা ৪ মাস পর, বেশির চেয়ে বেশি ৬ মাস পর স্ত্রীর কাছে যাওয়া উচিত; এরপর আপনার চাকুরীস্থলে ফিরে আসবেন। যত কম সময় দূরে থাকা যায় তত ভাল। কারণ এটি মারাত্মক ক্ষতিকর ও অকল্যাণকর। এ যুগে ফিতনা ফাসাদ নানা রকমের, নানা ধরনের। তাই স্বামীর উচিত এ বিষয়গুলো মাথায় রাখা। স্বামীর উচিত নিজের চরিত্র ও তার স্ত্রীর চরিত্র নিষ্কলুষ রাখার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকা এবং ফিতনার যাবতীয় উপসর্গ থেকে দূরে থাকা।[বিন বাযের ফতোয়াসমগ্র থেকে সমাপ্ত (২১/২৩৪)]

আল্লাহই ভাল জানেন।

স্বামী-স্ত্রীর অধিকার
ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব ওয়েবসাইটে দেখান