আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
আলহামদু লিল্লাহ।.
আলহামদুলিল্লাহ।এক দেশের নারীর সাথে অন্য দেশের পুরুষের বিয়ে হওয়াতে শরিয়তে কোন বাধা নেই। এ বিষয়ে জানতে 130596 নং প্রশ্নোত্তরটি দেখুন।
তবে কোন স্ত্রীর জন্যে তার স্বামীর দেশ ছেড়ে দুই বছর অনুপস্থিত থাকার ক্ষেত্রে: স্বামী-স্ত্রী কিসের উপর একমত হয়েছেন ও সম্মত হয়েছেন সেটা দেখাই হচ্ছে- মূল বিধান। কারণ স্বামীর অধিকার হচ্ছে- সে যেখানে থাকে স্ত্রীকে সেখানেই রাখবে। যদি স্বামী এ অনুপস্থিতিকে মেনে নেয় তাহলে কোন আপত্তি নেই।
আমরা আপনাকে পরামর্শ দিব স্বামী যদি রাজিও হয় এ দীর্ঘ সময় আপনি স্বামী থেকে দূরে থাকবেন না। কারণ এর অনেক ক্ষতিকর দিক রয়েছে এবং এ কারণে নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়; যে সমস্যাগুলো অনেক সময় বিয়ের আগে দেখা দেয় না।
শাইখ বিন বায (রহঃ) স্বামী-স্ত্রী পরস্পর দূরে থাকার ক্ষতিকর দিক উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন: এ দীর্ঘসময়ের দূরত্ব আপনার জন্য ও তার জন্য ক্ষতিকর। আপনার উচিত ফাঁকে ফাঁকে স্ত্রীর কাছে যাওয়া ও কিছু সময় তার কাছে থাকা। প্রতি ৩ মাস বা ৪ মাস পর, বেশির চেয়ে বেশি ৬ মাস পর স্ত্রীর কাছে যাওয়া উচিত; এরপর আপনার চাকুরীস্থলে ফিরে আসবেন। যত কম সময় দূরে থাকা যায় তত ভাল। কারণ এটি মারাত্মক ক্ষতিকর ও অকল্যাণকর। এ যুগে ফিতনা ফাসাদ নানা রকমের, নানা ধরনের। তাই স্বামীর উচিত এ বিষয়গুলো মাথায় রাখা। স্বামীর উচিত নিজের চরিত্র ও তার স্ত্রীর চরিত্র নিষ্কলুষ রাখার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকা এবং ফিতনার যাবতীয় উপসর্গ থেকে দূরে থাকা।[বিন বাযের ফতোয়াসমগ্র থেকে সমাপ্ত (২১/২৩৪)]
আল্লাহই ভাল জানেন।