আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
আমার ৬ বছর বয়সী একটি বাচ্চা আছে। আমি গর্ভবতী। আমার মধ্যে বিশেষভাবে এই ভ্রূণটি কিভাবে এল আমি এ বিষয়টি তার কাছে কিভাবে ব্যাখ্যা করতে পারি? সে বারবার আমাকে প্রশ্নটি করছে; আমি কী বলে তাকে জবাব দিব সেটি বুঝতে পারছি না। দয়া করে আমাকে বিষয়টি জানাবেন; আল্লাহ্ আপনাদেরকে উত্তম সওয়াব দিন।
আলহামদু লিল্লাহ।.
সন্তানদের প্রশ্নাবলীর প্রতি পিতামাতার গুরুত্ব প্রকাশ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ; সে সব প্রশ্নাবলীর প্রতি পিতামাতার প্রকৃত দৃষ্টিভঙ্গি যেটাই হোক না কেন। এটি প্রকাশ করা উচিত নয় যে, এই প্রশ্নাবলী পিতামাতাকে বিশেষ কোন সংকটে ফেলে দিচ্ছে। যাতে করে জিজ্ঞাসিত বিষয়ের প্রতি বাচ্চার সবিশেষ কোন সংবেদনশীলতা তৈরী না হয়।
প্রশ্নোল্লেখিত বিষয়ে বলব: বাচ্চার মা তাকে এই প্রশ্নের জবাব দেয়ার পরিবর্তে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ ও তাঁর ক্ষমতার দিকে নিয়ে যেতে পারেন। তিনি কিভাবে মৃত থেকে জীবিতকে বের করে আনেন। কিভাবে জীবিত থেকে মৃতকে বের করে আনেন। কিভাবে আল্লাহ্ মাটি থেকে আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করেছেন। পরবর্তীতে মা-দের পেটের ভেতর আদমের সন্তান ও তার বংশধরদের সৃষ্টি করেছেন। পেটের ভেতর যা কিছু থাকে সেগুলো থাকা সত্ত্বেও কিভাবে আল্লাহ্ তাআলা মায়ের পেটকে এই ছোট্ট শিশুর দীর্ঘ একটি সময় থাকার জন্য উপযুক্ত স্থান বানিয়েছেন। মায়ের পেটে এই শিশুটি ভ্রুণ থেকে রক্তপিণ্ডে, রক্তপিণ্ড থেকে পরিপূর্ণ আকৃতির গোশতের টুকরা কিংবা অপরিপূর্ণ আকৃতির গোশতের টুকরায় পরিণত হয়েছে।
এভাবে মা তাকে আল্লাহ্র ক্ষমতা, তাঁর সৃষ্টি, তাঁর পরিচর্যা ও তাঁর প্রজ্ঞার আলোচনায় নিয়ে যাবেন। কিভাবে আল্লাহ্ মায়ের পেটে এই শিশুর রিযিক নিশ্চিত করেছেন সেই আলোচনায় নিয়ে যাবেন।
কিভাবে আল্লাহ্ তাআলা নির্দিষ্ট একটি সময় পর্যন্ত এই শিশুকে মায়ের পেটে রাখেন। এরপর তাঁর কুদরতে মায়ের পেট থেকে শিশুটি বের হয়ে আসে যেভাবে ডিমের ভেতর থেকে বাচ্চা বেরিয়ে আসে।
এভাবে এই বয়সী শিশুকে মা সাধারণ কিছু জবাব দিতে পারেন। যে জবাবগুলো শুনে পেয়ে শিশু পরিতৃপ্ত হবে এবং নিঃসন্দেহে তথ্যগুলোও সঠিক হবে। এর সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু কুরআনের আয়াত যোগ করতে পারলে ভাল। যাতে করে শিশুর মা শিশুকে তার প্রশ্নের ক্ষেত্র থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত ক্ষেত্রে নিয়ে যেতে পারেন। যার মাধ্যমে তিনি স্পর্শকাতর বিষয়ে সরাসরি জবাব দেয়ার সংকটকে এড়িয়ে যেতে পারবেন এবং অসঠিক তথ্য দেয়া থেকেও নিজেকে রেহাই দিতে পারবেন।
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।