আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
আমার এক ছেলে আছে খুব প্রতিক্রিয়াশীল, কঠিন মেজাজী। আমি তার এই স্বভাবটি কিভাবে সংশোধন করতে পারি?
আলহামদু লিল্লাহ।.
রাগ দূর করার উপায় প্রসঙ্গে ইতিপূর্বে 658 নং প্রশ্নোত্তরে আলোচনা করা হয়েছে। সেই উপায়গুলোর মধ্যে রয়েছে:
নীচে সুন্দর একটি ঘটনা উল্লেখ করা হলো যা এই ছেলেটির রাগ দূরীকরণে সাহায্য করবে:
“রাগী এক ছেলে ছিল। ছেলেটি কোন সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারত না। তার বাবা তার জন্য পলিথিন ভরে তারকাটা নিয়ে এসে তাকে বলল:
শোন বাবা, যখনই তোমার রাগ উঠবে তখনই তুমি আমাদের বাগানের কাঠের বেড়াতে একটি করে তারকাটা মারবে।
এভাবে ছেলেটি তার পিতার উপদেশ বাস্তবায়ন শুরু করল...
প্রথম দিন সে ৩৭ টি তারকাটা মেরেছে। কিন্তু বেড়াতে তারকাটা মারা সহজ কাজ ছিল না।
কিন্তু সে রাগের সময় নিজেকে সংযত করার চেষ্টা করা শুরু করল। কিছুদিন যাওয়ার পর সে অপেক্ষাকৃত কম তারকাটা মারত। এভাবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সে নিজেকে কন্ট্রোল করতে সক্ষম হল এবং রাগ করা থেকে ও তারকাটা মারা থেকে নিবৃত হতে পারল। তখন সে এসে তার পিতাকে তার সফলতার সংবাদ দিল। পিতা তার এই পরিবর্তনে খুশি হলেন এবং তাকে বললেন: প্রিয় বৎস! এবার তোমার দায়িত্ব হলো প্রত্যেক যেই দিন তুমি রাগ করবে না সেই দিন একটি করে তারকাটা তুলে ফেলা।
এবার ছেলেটি নতুনভাবে তারকাটা তোলা শুরু করল; প্রত্যেক যেই দিন সে রাগ করে না সেই দিন। এভাবে সে বেড়ার সবগুলো তারকাটা তুলে ফেলল।
এরপর সে তার পিতার কাছে এসে তার সফলতার খবর জানাল। তখন পিতা তাকে নিয়ে সেই বেড়ার কাছে আসলেন এবং বললেন: তুমি এক্সিলেন্ট কাজ করেছ। কিন্তু দেখ, বেড়াতে সেই ছিদ্রগুলো রয়ে গেছে। এই বেড়াটি প্রথম অবস্থার মতো কখনও হবে না। তিনি আরও বললেন:
তুমি রাগের মাথায় কতকিছু বল; সেই কথাগুলো অন্যদের মনে এভাবে এ ছিদ্রগুলোর মত দাগ কাটে।
তুমি মানুষকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে, আবার ছুরি বের করে নিতে পারবে। এটি গুরুত্বপূর্ণ নয় যে, তুমি কয়বার “আমি দুঃখিত” বলবে। কারণ ক্ষতটি সেখানে থেকেই যাবে।