আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
আলহামদু লিল্লাহ।.
আলহামদুলিল্লাহ।কেবল সামর্থ্যবান ব্যক্তির উপর হজ্জ আদায় করা ফরজ। আল্লাহ তাআলা বলেন: “আর এ ঘরের হজ্ব করা হলো মানুষের উপর আল্লাহর প্রাপ্য; যে লোকের সামর্থ্য রয়েছে এ পর্যন্ত পৌছার।”[সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৯৭] সামর্থ্যের পরিসীমা 5261 নং প্রশ্নোত্তরে আলোচিত হয়েছে।
যে ব্যক্তি সামর্থ্যের অধিকারী তার উপর ফরজ অবিলম্বে হজ্জ আদায় করা। কারণ আলেমগণের অগ্রগণ্য মতানুযায়ী হজ্জ অবিলম্বে আদায় করা ফরজ। এ বিষয়টি 155378 নং প্রশ্নোত্তরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
এতে কোন সন্দেহ নেই যে ব্যক্তি মক্কায় হজ্জের কাজে রত আছেন প্রবল ধারণানুযায়ী সে কোন না কোনভাবে ফরজ হজ্জ আদায় করার সক্ষমতা রাখে। কিংবা ন্যূনতম অন্যের তুলনায় তার ক্ষেত্রে সামর্থ্যবান হওয়ার দিকটা অধিক প্রবল। কেননা তার তো মক্কা পর্যন্ত সফর করার খরচ বা ভিসা খরচ ইত্যাদি লাগছে না। তার প্রয়োজন শুধু যার অধীনে কাজ করছেন হজ্জের ফরজ কাজগুলো আদায় করার জন্য তার কাছ থেকে অনুমতি নেয়া। ইনশাআল্লাহ, সেটা অতি সহজ। আরাফার দিন সে হয়তো আরাফার ময়দানে ডিউটি করবে; এ রকম হলে তো বিনা কষ্টে মুহরিমের আরাফায় অবস্থানের দায়িত্ব পালন হয়েই যায়। আর যদি তার ডিউটি আরাফা থেকে দূরে হয় তাহলে তার পক্ষে আরাফায় গিয়ে সেখানে অবস্থান করা সম্ভব; যেহেতু আরাফার দিন আরাফার মাঠের বাইরে লোকবলের প্রয়োজন খুব কম থাকে। একই কথা, মুযদালিফাতে রাত্রি যাপন ও জমরাতে কংকর নিক্ষেপ ইত্যাদি আমলগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এ আমলগুলোর মধ্যে শুধু ওয়াজিবটুকু পালন করা সম্ভব; ইনশাআল্লাহ। তদুপরি তার নিয়োগকর্তা যদি তাকে হজ্জ আদায়ের অনুমতি না দেয় তাহলে তার সামর্থ্য নেই- এ কথা সত্য; যেমনটি ইতিপূর্বে 155378 নং প্রশ্নোত্তরে উল্লেখ করা হয়েছে। তার উচিত হবে, ইনশাআল্লাহ আগামী বছর হজ্জ আদায় করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
নিয়োগকর্তার উচিত তার কর্মচারীকে হজ্জ আদায় করার জন্য অনুমতি দেয়া। বিশেষতঃ এটা যদি ফরজ হজ্জ হয়। কোন মুসলিমকে এ মহান রুকন আদায়ে সহযোগিতা করার মধ্যে মহান প্রতিদান রয়েছে।
আল্লাহই ভাল জানেন।