আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
আলহামদু লিল্লাহ।.
রোযা ভঙ্গকারী বিষয়গুলো নির্দিষ্ট; কুরআন ও সুন্নাহ্তে স্পষ্টভাবে সেগুলো উদ্ধৃত হয়েছে। সেগুলো হল: সহবাস, পানাহার, যা কিছু পানাহারের স্থলাভিষিক্ত যেমন- স্যালাইন ইনজেকশন, হস্তমৈথুন, শিঙ্গা লাগানো, ইচ্ছাকৃত বমি ও হায়েয। ইতিপূর্বে 38023 নং প্রশ্নোত্তরে এ বিষয়গুলো উদ্ধৃত হয়েছে।
রোযা ভঙ্গ করার ক্ষেত্রে হস্তমৈথুন ও বেপর্দার মধ্যে পার্থক্য হল: হস্তমৈথুন সত্তাগতভাবে রোযা ভঙ্গকারী ও রোযার সাথে সাংঘর্ষিক। দলিল হচ্ছে-- আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: "রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: "আল্লাহ্ তাআলা বলেন: রোযা আমারই জন্য। আমিই এর প্রতিদান দিব। বান্দা আমার জন্য পানাহার ও যৌনসুখ বর্জন করে।" হস্তমৈথুন যৌনসুখ। তাই সেটি পানাহারের ন্যায় রোযা ভঙ্গকারী।
ইবনে হাজার আল-হাইতামী (রহঃ) বলেন: "হস্তমৈথুন নিজেই রোযাভঙ্গকারী।"[আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা (২/৭৩)]
শাইখ মুহাম্মদ মুখতার আস-শানক্বিতি বলেন:
তিনি (আল্লাহ্) বলেছেন: "যৌনসুখ"। এটাকে তিনি সাধারণভাবে উল্লেখ করেছেন। ফলে বড় যৌনসুখ যা সহবাসের মাধ্যমে অর্জিত হয় সেটাও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং যে যৌনসুখ হস্তমৈথুনের মাঝে হাছিল হয় সেটাও অন্তর্ভুক্ত করেছে। যখন সে বীর্যপাত করে তখন তার যৌনসুখ লাভ হয়। এটাই হচ্ছে বড় যৌনসুখ। এ দিক থেকে সে বে-রোযাদার গণ্য হয়। কেননা রোযাদার তার যৌনসুখকে ত্যাগ করে। যে ব্যক্তি হস্তমৈথুন করল সে তো আর যৌনসুখকে ত্যাগ করল না।"[শারহুল যাদিল মুস্তাকনি (৪/১০৪) থেকে সমাপ্ত]
আল-মাওসুআ আল-ফিকহিয়্যা গ্রন্থে (৪/১০০) এসেছে:
"মালেকি মাযহাব, শাফেয়ি মাযহাব, হাম্বলি মাযহাব ও হানাফি মাযহাবের অধিকাংশ আলেমের মতে: হাত দিয়ে হস্তমৈথুন রোযাকে বাতিল করে দেয়।"[সমাপ্ত]
পক্ষান্তরে, বেপর্দা হওয়া রোযা ভঙ্গকারী নয়। বরং তা গীবত, মিথ্যা ইত্যাদি অন্য গুনাহসমূহের মত একটি গুনাহ; যেগুলোর কারণে রোযার সওয়াব কমে যায়; কিন্তু রোযা ভাঙ্গে না।
ইতিপূর্বে 50063 নং প্রশ্নোত্তরে আলোচিত হয়েছে যে, গুনাহ রোযাদারের সওয়াব কমিয়ে দেয়। কখনও কখনও এত বেশি গুনাহ করা হয় যে, রোযার সম্পূর্ণ সওয়াব শেষ হয়ে যায়। কিন্তু রোযাকে নষ্ট করে না। বরং এ গুনাহ সত্ত্বেও তার রোযা সহিহ হবে এবং রোযাদারের উপর থেকে ফরযিয়ত দায়িত্ব খালাস হবে এবং তাকে কাযা পালন করার আদেশ দেয়া হবে না।