আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
আমি ও আমার বোন রান্না করার গেইম খেলি। খেলার মাঝামাঝিতে এলে তারা তাদের উৎসব পালন করে। আমরা কিচেনের ডেকোরেশন চেঞ্চ করছিলাম। কিন্তু, আমরা খেলা থামিয়ে দেই। কিন্তু, আমরা উৎসবের এ অংশটুকু খেলা ছাড়া কিছুতেই অগ্রসর হতে পারব না। যদি আমরা এই খেলা অব্যাহত রাখি এতে করে কি আমরা গুনাহগার হব?
আলহামদু লিল্লাহ।.
অমুসলিমদের কোন উৎসব পালন করা কিংবা মুসলমানদের কেউ কেউ যে সব বিদাতী ঈদ উদ্ভাবন করেছে সেগুলো পালন করা জায়েয নয়; এমন কি সেটা যদি কোন গেইমের মধ্যে হয় তবুও। কেননা, কোন হারাম কাজের প্রতি সন্তুষ্ট থাকা কিংবা সম্মতি দেয়া জায়েয নয়; থাকত তাতে অংশগ্রহণ করা জায়েয হবে!
মুসলমানদের ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা ব্যতীত আর কোন উৎসব নেই। এ দুটো ছাড়া আর যেসব উৎসব আছে সেগুলো নব-প্রবর্তিত উৎসব। যদি এ উৎসবগুলোকে ইবাদত হিসেবে পালন করা হয় তাহলে সেটা নিন্দনীয় বিদাত। আর যদি অভ্যাস হিসেবে পালন করা হয় সেটাও কাফেরদের সাথে সাদৃশ্যতা থাকায় নিষিদ্ধ। কারণ এসব উৎসব প্রবর্তন ও পালনের জন্য তারা সুপরিচিত।
সুনানে আবু দাউদ (১১৩৪) ও সুনানে নাসাঈতে (১৫৫৬) আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসী বিশেষ দুইটি দিনে খেলাধুলা করত। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: এ দুইটি দিনের হাকিকত কী? তারা বলল: জাহেলী যুগে আমরা এ দুটি দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে এ দুটি দিনের চেয়ে উত্তম দুটি দিন দিয়েছেন: ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতর।” [আলবানী 'আস-সিলসিলাতুস সাহিহা' গ্রন্থে (২০২১) হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন] তিনি আরও বলেন: "যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করে সে তাদেরই দলভুক্ত"।[সুনানে আবু দাউদ (৪০৩১), আলবানী 'সহিহু সুনানে আবু দাউদ' গ্রন্থে হাদিসটিকে সহহি বলেছেন]
যদি এ গেইমে উৎসবের এ অংশটি বাদ দিয়ে অগ্রসর হওয়া না যায়; বরং এ অংশ খেলা অনিবার্য হয় সেক্ষেত্রে এ খেলা অব্যাহত রাখা জায়েয হবে না। বিশেষতঃ যে সব বৈধ গেইম রয়েছে সেগুলো যথেষ্ট।
এ ধরণের গেইম শিশু-মনে বাতিল মনোভাব ও অভ্যাস সৃষ্টি করে। শিশুকে ভ্যালেন্টাইনস ডে, বার্বি ডে, বার্থ ডে ইত্যাদি পালনে উদ্বুদ্ধ করে। এসব গেইম থেকে সাবধান থাকা ও শিশুদেরকে দূরে রাখা আবশ্যকীয়।
আরও জানতে দেখুন: 237205 নং প্রশ্নোত্তর।
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।