আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
জার্মানিতে ব্লাক ওয়ার্ক করার হুকুম কী? অর্থাৎ জার্মানি সরকারকে না জানিয়ে চাকুরী করা? এর কারণ হচ্ছে, যে ব্যক্তি ব্লাক ওয়ার্ক করছেন তিনি তার নিয়োগকর্তা থেকেও বেতন পাচ্ছেন, আবার শরণার্থী হিসেবে সরকার থেকেও ভাতা পাচ্ছেন?
আলহামদু লিল্লাহ।.
কোন মুসলমান যদি কোন দেশের কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে সে দেশে প্রবেশ করে তাহলে সে দেশের আইনকানুন মেনে চলা তার জন্য অপরিহার্য; যতক্ষণ পর্যন্ত না সেসব আইন ইসলামী শরিয়ার সাথে সাংঘর্ষিক না হয়। সে দেশের অভিবাসন শর্তের ক্ষেত্রে ছলচাতুরি করা কিংবা তাদের তরফ থেকে প্রদত্ত সাহায্য প্রাপ্তির শর্তাবলীর ক্ষেত্রে ছলচাতুরি করা নাজায়েয। কেননা এটাই তো প্রতিশ্রুতির দাবী। আল্লাহ্ তাআলা বলেন, “তোমরা প্রতিশ্রুতি পূর্ণ কর। নিশ্চয় প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।”[সূরা বনী ইসরাইল, আয়াত: ৩৪]
সে দেশের আইনে যদি শরণার্থী ভাতা পাওয়ার জন্য চাকুরী না করা শর্ত করে থাকে সেক্ষেত্রে উক্ত শর্ত লঙ্ঘন করা কিংবা ছলচাতুরি করা জায়েয হবে না।
সে দেশ যেহেতু শরণার্থীদের প্রতি অনুগ্রহ করে তাদেরকে ভাতা দেয় সে দেশের সরকারের সাথে প্রতারণা করে, অভিবাসন ও নিরাপত্তা শর্ত লঙ্ঘন করে শরণার্থী বা অভিবাসী হিসেবে যা তার প্রাপ্য নয় তাদের সম্পদ থেকে তা গ্রহণ করা– নাজায়েয।
এরপর এ কাজটি যদি বৈধ হত তবুও একজন মুসলিমের ব্যক্তিত্বের সাথে এমন কাজ সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। অমুসলিমের কাছ থেকে দান ও সাহায্য গ্রহণ করেই তো সে আড়ষ্ট।
জালিয়াতি ও শর্ত লঙ্ঘন করে কিছু সাহায্য পাওয়ার জন্য ছলচাতুরি করা কি মুসলিমের জন্য সঙ্গত হতে পারে?!
একজন মুসলিমের মর্যাদা, আত্মিক পবিত্রতা ও সম্মানবোধ কি এমন হতে পারে?!
আল্লাহ্ই ভাল জানেন।