আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
পায়ের ফাটার ভেতরে অনেক ময়লা থাকা সংক্রান্ত আপনাদের ফতোয়াটি আমি পড়েছি। সেখানে আপনারা বলেছেন: ময়লা বেশি হলে সেটা দূর করা আবশ্যক; অল্প হলে মার্জনীয়। কিন্তু আমাদের মসজিদের ইমামের পায়ে অনেক ময়লা। তার পিছনে আমার নামায পড়া কি সহিহ হবে? যদি তিনি হুকুম না জানেন তাহলে তার পিছনে আমার নামায পড়ার হুকুম কি?
আলহামদু লিল্লাহ।.
ওযুর অঙ্গে পানি পৌঁছতে যা কিছু বাধা দেয় সেটা দূরীভূত করা আবশ্যকীয়; যাতে করে আল্লাহ্ যেভাবে অঙ্গটি ধৌত করার নির্দেশ দিয়েছেন সেটা বাস্তবায়িত হয়। কোন কোন আলেমের নিকট যা কিছু দূরীভূত করা কষ্টকর যেমন নখের নীচের ময়লা ও পায়ের ফাটার ভেতরের ময়লা সেগুলো মার্জনীয়।
"মাতালিবু উলিন নুহা" গ্রন্থে (১/১১৬) বলেন: "নখের নীচের সামান্য ময়লা বা এ জাতীয় কিছু (যেমন নাকের ভেতরে প্রবেশকৃত কোন বস্তু) কোন ক্ষতি করবে না। এমনকি সেটা যদি পানি পৌঁছতে বাধা দেয় তবুও। যেহেতু এটি সচরাচর ঘটে থাকে। যদি এর কারণে ওযু অশুদ্ধ হত তাহলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা স্পষ্ট করে দিতেন। যেহেতু স্পষ্টীকরণ প্রয়োজনের সময়ের পরে আসা জায়েয নয়। শাইখ তাকী উদ্দিন এর (তথা সামান্য ময়লার) অধিভুক্ত করেছেন সকল সামান্য বস্তুকে যা পানি পৌঁছতে বাধা দেয়; যেমন শরীরের কোন অঙ্গে লেগে থাকা রক্ত ও আটার খামির। তিনি নখের নীচের উপর এটাকে কিয়াস করে এ অভিমত নির্বাচন করেছেন। এর অধিভুক্ত হবে শরীরের কোন অঙ্গে যে ফাটা থাকে সেটাও"।[সমাপ্ত]
"হাশিয়াতুর রাওয" গ্রন্থে (১/২০৪) বলেন: "যেমন নাকের ভেতরে প্রবেশকৃত কোন বস্তু যা পানি প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে। এমন ব্যক্তির পবিত্রতা অর্জন শুদ্ধ। এটি মুওয়াফ্ফাক ও অন্যান্যদের নির্বাচিত অভিমত।
"ইনসাফ" গ্রন্থে এ অভিমতকে সঠিক বলা হয়েছে। শাইখ বলেন: শরীরের অঙ্গসমূহের কোন অংশে সামান্য ময়লা থাকলে সেগুলো এবং দুই পায়ের ফাটার ভেতরে ময়লা থাকলে সেটাও মার্জনীয়। এর অধিভুক্ত করা হয়েছে প্রত্যেক সামান্য জিনিস যা শরীরের যে স্থানে রয়েছে সেখানে পানি পৌঁছতে বাধা দেয়। যেমন- রক্ত, খামির ইত্যাদি। তিনি এ অভিমতটি নির্বাচন করেছেন"।[সমাপ্ত]
অতএব, দুই পায়ের ফাটার ভেতরে যে ময়লাগুলো থাকে সেটা মার্জনীয়; যদি ধরে নেয়া হয় যে, আসলেই ময়লা রয়েছে। আর হতে পারে সেটা রঙ পরিবর্তন হয়ে গেছে এমন চামড়া; ত্বকে পানি পৌঁছতে বাধা দেয় এমন ময়লা নয়।
সুতরাং এমন ইমামের পেছনে নামায আদায় করা সহিহ।
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।