Islam QA ওয়েবসাইটের জন্য দান করুন

আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্‌ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।

কোরবানিকারীর পরিবারের সদস্যরা যিলহজ্জ মাসের দশদিন চুল ও নখ কাটতে পারেন

24-08-2017

প্রশ্ন 33743

যিনি কোরবানি করবেন তিনি যদি পুরুষ হন সেক্ষেত্রে তার স্ত্রী-পুত্রদের জন্যে যিলহজ্জ মাস শুরু হওয়ার পর চুল কাটা ও নখ কাটা কি জায়েয হবে?

উত্তর

আলহামদু লিল্লাহ।.

হ্যাঁ; সেটা জায়েয। ইতিপূর্বে 36567 নং প্রশ্নোত্তরে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কোরবানিকারীর জন্য চুল, নখ ও শরীরের চামড়ার কোন অংশ কাটা হারাম। এ হুকুমটি কোরবানিকারী; অর্থাৎ যিনি কোরবানির পশুর মালিক তার জন্য খাস।

শাইখ বিন বায (রহঃ) বলেন:

“পক্ষান্তরে কোরবানিকারীর পরিবার: তাদের উপর কোন কিছু নেই। আলেমগণের বিশুদ্ধ মতানুযায়ী, তারা চুল কাটা ও নখ কাটার নিষেধাজ্ঞার আওতায় নেই। হুকুমটি কোরবানিকারীর জন্য খাস যিনি তার সম্পদ থেকে কোরবানির পশুটি ক্রয় করেছেন।” [ফাতাওয়া ইসলামিয়্যা (২/৩১৬)]

স্থায়ী কমিটির ফতোয়া সমগ্রে (১১/৩৯৭) এসেছে:

“যে ব্যক্তি কোরবানি করতে ইচ্ছুক তার জন্য বিধান হচ্ছে- তিনি যিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখার পর থেকে নিজের চুল, নখ ও চামড়ার কোন অংশ কাটবেন না; যতক্ষণ না তিনি কোরবানি সম্পন্ন করেন। দলিল হচ্ছে একদল সংকলক (বুখারী ছাড়া) উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “তোমরা যখন যিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখ এবং তোমাদের কেউ কোরবানি করার সংকল্প রাখে তখন সে যেন তার চুল ও নখ কাটা থেকে বিরত থাকে”। সুনানে আবু দাউদ (২৭৯১) ও সহিহ মুসলিম (১৯৭৭) এর ভাষ্য হচ্ছে- “কেউ যদি জবাই করার জন্য কোন পশু প্রস্তুত রাখে এবং সে যিলহজ্জ মাসে প্রবেশ করে তখন সে যেন তার চুল ও নখ না কাটে; যতক্ষণ না সে কোরবানি সম্পন্ন করে”। এক্ষেত্রে সে নিজ হাতে জবাই করুক কিংবা অন্য কাউকে জবাই করার দায়িত্ব দিক উভয়টা সমান। আর যাদের পক্ষ থেকে কোরবানি করা হচ্ছে তাদের জন্য এসব বিধান নেই। যেহেতু এই মর্মে কোন দলিল নেই।”[সমাপ্ত]

শাইখ উছাইমীন (রহঃ) ‘আল-শারহুল মুমতি’ গ্রন্থে (৭/৫৩০) বলেন:

“যাদের পক্ষ থেকে কোরবানি করা হচ্ছে তারা এগুলো কাটলে কোন গুনাহ নেই। দলিল হচ্ছে নিম্নরূপ:

১। হাদিসের বাহ্যিক মর্ম এটাই। সেটা হচ্ছে- হারাম হওয়াটা যিনি কোরবানি করবেন তার জন্য খাস। এর আলোকে হারাম হওয়া পরিবারের কর্তার জন্য খাস হবে। আর পরিবারের সদস্যদের জন্য হারাম হবে না। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হুকুমটাকে কোরবানিকারীর সাথে সম্পৃক্ত করেছেন। এর (বিপরীত) মর্মার্থ হচ্ছে- যাদের পক্ষ থেকে কোরবানি করা হচ্ছে তাদের জন্য এ হুকুম সাব্যস্ত নয়।

২। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে কোরবানি করতেন। কিন্তু এমন কোন বর্ণনা আসেনি যে, তিনি তাদেরকে বলেছেন যে, ‘তোমরা তোমাদের চুল, নখ ও চামড়ার কোন অংশ কেটো না’। যদি এগুলো করা তাদের জন্য হারাম হত তাহলে অবশ্যই তিনি তাদেরকে নিষেধ করতেন। এটাই অগ্রগণ্য অভিমত।”[সমাপ্ত]

কোরবানী
ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব ওয়েবসাইটে দেখান