আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
আমি ডায়াবেটিক্স এর রোগী; প্রতিদিন দুইবার ইনসুলিন নিতে বাধ্য। এ কারণে আমি রোযা রাখি না। নগদ অর্থ দিয়ে ফিদিয়া পরিশোধ করি। যে পরিমাণ অর্থ দিয়ে আমি ইফতার করি সে পরিমাণ অর্থ প্রদান করি। এ পদ্ধতিতে ফিদিয়া দেয়া কি জায়েয হবে, অর্থাৎ নগদ অর্থ দিয়ে? আমি বিবাহিত নই বিধায় রেস্টুরেন্টে ইফতার করি। আমি এই ফিদিয়া কি তিনজন বা ততোধিক মিসকীনের মাঝে ভাগ করে দিতে পারব? কারণ ইফতার নেওয়ার মত কোন গরীব লোক আমি খুঁজে পাই না।
আলহামদু লিল্লাহ।.
আপনি যদি রোযা রাখার সক্ষমতা রাখেন তাহলে আপনার উপর রোযা রাখা ফরয; রোযা না রেখে ফিদিয়া দেয়া আপনার জন্য জায়েয হবে না। ইনসুলিন গ্রহণ করলে রোযা ভাঙ্গে না। আপনি রোযা রেখে ইনসুলিন গ্রহণ করতে পারেন। তাই আপনি যে দিনগুলোর রোযা রাখেননি সেগুলোর কাযা আদায় করা আপনার উপর ফরয। 1319 নং প্রশ্নোত্তরটি পড়ুন।
আর যদি রোযা রাখলে আপনার স্বাস্থ্যগত ক্ষতি হয় কিংবা রোযা রাখা আপনার জন্য খুবই কষ্টকর হয় কিংবা দিনের বেলায় আপনার অন্যান্য ঔষধ খাওয়া প্রয়োজন হয়; তাহলে আপনি রোযা না-রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি ভবিষ্যতে আর কখনও রোযাগুলো কাযা পালন করার সক্ষমতা না রাখেন তখন আপনি প্রতিদিনের বদলে একজন মিসকীনকে খাদ্য দিবেন।
নগদ অর্থ দিয়ে ফিদিয়া আদায় করা জায়েয নয়। বরং খাদ্য দিয়ে ফিদিয়া আদায় করা ফরয। দলিল হচ্ছে আল্লাহ্র বাণী: অর্থ হচ্ছে- “আর যাদের জন্য সিয়াম কষ্টসাধ্য তাদের কর্তব্য এর পরিবর্তে ফিদিয়া দেয়া তথা একজন মিসকীনকে খাদ্য দান করা।”।[সূরা বাক্বারা, আয়াত: ১৮৪]
আপনার কর্তব্য হচ্ছে মিসকীনদের সন্ধান করা; যাতে করে আপনার উপর আবশ্যকীয় দায়িত্ব আপনি পালন করতে পারেন; কিংবা আপনি এমন কাউকে নগদ অর্থ দিতে পারেন যিনি খাদ্য কিনে আপনার পক্ষ থেকে মিসকীনদের কাছে পৌঁছে দিবে।
আল্লাহ্ই ভাল জানেন।