Islam QA ওয়েবসাইটের জন্য দান করুন

আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্‌ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।

সাহু সিজদার স্থান এবং এতে কী পড়তে হয়?

03-10-2023

প্রশ্ন 77430

আমি জিজ্ঞাসা করতে চাই সাহু সেজদা কিভাবে দিতে হয়; যদি নামাযে কোন কিছু কম বা বেশি করে ফেলা হয়? যদি সালাম ফেরানোর পর সাহু সিজদা দেওয়া হয় তাহলে কি মুসল্লী পুনরায় তাশাহ্‌হুদ পড়বেন; নাকি নয়?

সাহু সাজদাতে কি ‘সুবহানা রাব্বিয়াল আলা’ তিনবার পড়বে? নাকি সাহু সিজদায় পড়ার মত অন্যান্য যিকির আছে?

মুসল্লী যদি প্রথম তাশাহ্‌হুদ ভুলে যায় তাহলে কি তার উপর সাহু সিজদা দেয়া ওয়াজিব; নাকি ওয়াজিব নয়?

উত্তর

আলহামদু লিল্লাহ।.

এক:

সাহু সিজদার স্থান কোনটি; সেটা কি সালামের আগে; নাকি পরে এ নিয়ে আলেমদের মাঝে বিশদ মতভেদ আছে। তাদের মতগুলোর মাঝে বেশি শক্তিশালী মত হলো: নামাযে ভুলবশতঃ বৃদ্ধি করলে সালামের পর সিজদা দিতে হবে। আর কমতি করলে সালামের আগে সিজদা দিতে হবে। আর কোন সন্দেহের কারণে হলে সেটা একটু ব্যাখ্যাসাপেক্ষ: দুটো সম্ভাবনার কোনো একটা যদি প্রাধান্য না পায় তাহলে সে সালামের আগে সিজদা দিবে। ইতঃপূর্বে 12527 নং প্রশ্নের উত্তরে এটি উল্লেখ করা হয়েছে।

দুই:

‘ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দাইমা’ (৭/৮)-তে আছে:

“আলেমদের দুই মতের মাঝে বিশুদ্ধ মত অনুসারে নামাযের প্রথম বৈঠকের তাশাহ্‌হুদ একটি ওয়াজিব। কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটা করতেন এবং তিনি বলেছেন: “তোমরা আমাকে যেভাবে সালাত আদায় করতে দেখছ সেভাবে সালাত আদায় কর।” এবং যেহেতু তিনি এটা ছেড়ে দেওয়ার প্রেক্ষিতে সাহু সিজদা দিয়েছিলেন। সুতরাং কেউ ইচ্ছাকৃত প্রথম বৈঠক ছাড়লে তার নামায বাতিল হয়ে যাবে। আর ভুল করে ছেড়ে দিলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে সালামের আগে সাহু সিজদা দিবে।”[সমাপ্ত]

তিন:

সাহু সিজদার পর পুনরায় তাশাহ্‌হুদ পড়ার বিধান নেই; হোক সেই সিজদা সালামের আগে দেয়া হোক কিংবা পরে। ইতিপূর্বে নং 7895 প্রশ্নোত্তরে বিষয়টি বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।

চার:

নামাযের সিজদার মতোই সাহু সিজদা আদায় করতে হয়। মুসল্লী নামাযের মত করেই সাতটা হাড়ের উপর সাহু সিজদা আদায় করবে। ‘সুবহানা রাব্বিয়াল আ‘লা’ এই পরিচিত যিকির পড়বে। দুই সিজদার মঝে ‘রাব্বিগফিরলি, রাব্বিগফিরলি’ পড়বে। সাহু সিজদার জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো যিকির নেই। আলেমরা এটাই সিদ্ধান্ত দেন।

মারদাওয়ী তার ‘আল-ইনসাফ’ (২/১৫৯) বইয়ে বলেন:

“সাহু সিজদায় যা পড়া হবে এবং এর থেকে ওঠার পর যা পড়া হবে সবই নামাযের সিজদার মত।”[সমাপ্ত]

রামলী তার ‘নিহায়াতুল মুহতাজ’ (২/৮৮) বইয়ে বলেন:

“দুই সাহু সিজদার ধরন নামাযের সিজদার মতই; এর ওয়াজিব ও মুস্তাহাবগুলোর ক্ষেত্রে। যেমন: মাটিতে কপাল রাখা, স্থির হওয়া, ইফতিরাশ করা (দুই সিজদার মাঝখানে পায়ের উপর নিতম্ব রেখে বসা।)”[সংক্ষেপে সমাপ্ত]

কিছু ফকীহ মনে করেন সাহু সিজদাতে سُبْحَانَ مَنْ لَا يَسْهُوْ وَلَا يَنَامُ (সুবহানা মান লা ইয়াসহু ওয়া-লা ইয়ানামু) পড়া মুস্তাহাব। কিন্তু এর পক্ষে কোনো দলীল নেই। সুতরাং নামাযের সিজদায় যা পড়া হয় তাতে সীমিত থাকায় শরয়ি বিধান; এছাড়া অন্য কোন যিকিরে ব্যক্তি অভ্যস্ত হবে না।

এ সংক্রান্ত আলেমদের অন্যান্য মতগুলো ইতিপূর্বে 39399 নং প্রশ্নোত্তরে উল্লেখ করা হয়েছে।

আল্লাহ সর্বজ্ঞ।

নামাযে ভুল
ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব ওয়েবসাইটে দেখান