আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
আলহামদু লিল্লাহ।.
আলহামদুলিল্লাহ।কোন রোযাদার যদি রোযা ভাঙ্গার নিয়ত করে তাহলে তার রোযা বাতিল হয়ে যায়। রোযা ভাঙ্গার নিয়ত যদি হয় দ্বিধাহীন ও সুদৃঢ়; এমনকি পরবর্তীতে কোন খাবার-দাবার না পেয়ে নিয়ত পরিবর্তন করেন তবুও তার রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং তাকে এ দিনের পরিবর্তে অন্য একটি দিন রোযাটি কাযা করতে হবে। এটি মালেকি ও হাম্বলি মাযহাবের অভিমত।
তবে হানাফি ও শাফেয়ি মাযহাবের অভিমত এর বিপরীত।[দেখুন: বাদায়েউস সানায়ে ২/৯২, হাশিয়াতুদ দুসুকি ১/৫২৮, আল-মাজমু ৬/৩১৩, কাশশাফুল ক্বিনা ২/৩১৬]
নিম্নের আলোচনাতে তুলে ধরা হবে যে, রোযা বাতিল হওয়ার অভিমতটি অগ্রগণ্য; এ মতের ভিত্তিতে বলতে হয় যদি তিনি রোযা ভেঙ্গে ফেলার নিয়ত করেন, এতে কোন দ্বিধা ও সংশয় না থাকে; কিন্তু পরবর্তীতে রোযা ভাঙ্গার জন্য কিছু না পেয়ে নিয়ত পরিবর্তন করেন তদুপরি তার রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং এ রোযাটির কাযা পালন করা তার উপর অবধারিত হবে।
পক্ষান্তরে, সে ব্যক্তি রোযা ভাঙ্গবেন; নাকি ভাঙ্গবেন না এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে থাকেন অথবা রোযা ভাঙ্গার বিষয়টিকে কোন কিছুর সাথে সম্পৃক্ত করেন; যেমন- আমি যদি খাবার বা পানীয় পাই রোযা ভাঙ্গব; অতঃপর রোযা ভাঙ্গার মত কোন কিছু না পান তাহলে তার রোযা সহিহ হবে।
একবার শাইখ উছাইমীনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল: জনৈক মুসাফির ব্যক্তি রমজানের রোযা ভেঙ্গে ফেলার নিয়ত করেছে। কিন্তু রোযা ভাঙ্গার জন্য কোন কিছু না পেয়ে নিয়ত পরিবর্তন করেছে এবং মাগরিব পর্যন্ত রোযা পূর্ণ করেছে। এ ব্যক্তির এ রোযার হুকুম কি?
উত্তরে শাইখ বলেন: তার রোযা সহিহ নয়। তার উপর কাযা আদায় করা ফরজ। কারণ সে ব্যক্তি যখন রোযা ভাঙ্গার নিয়ত করেছেন তখনই তার রোযা ভেঙ্গে গেছে। পক্ষান্তরে সে ব্যক্তি যদি বলত- পানি পেলে রোজা ভাঙ্গব; নচেৎ আমি রোযা পূর্ণ করব; এরপর পানি না পায়। তবে এ ব্যক্তির রোযা সহিহ হবে। কারণ ইনি নিয়ত ত্যাগ করেননি। বরং রোযা ভাঙ্গাটাকে বিশেষ কিছুর সাথে সম্পৃক্ত করেছেন; তবে যেহেতু সে জিনিশটি পাওয়া যায়নি; সুতরাং তার প্রথম নিয়ত ঠিক থাকবে।
প্রশ্নকারী বলেন: আমরা সে ব্যক্তিকে কি জবাব দিতে পারি যিনি বলেন, কোন আলেম বলেননি যে, নিয়ত রোযাভঙ্গকারী বিষয়? তখন উত্তরে শাইখ বলেন: আমরা এ ব্যক্তিকে বলব, আলেমদের বই-পুস্তক (তথা ফিকাহর গ্রন্থ ও সংক্ষিপ্তসারগুলো) সম্পর্কে তার কোন ধারণা নেই। ‘যাদুল মুস্তানকি’ গ্রন্থে এসেছে- যে ব্যক্তি রোযা ভাঙ্গার নিয়ত করেছে তার রোযা ভেঙ্গে গেছে।
আমি আপনাদেরকে অপরিচিত ও অযোগ্য লোকদের কাছ থেকে ইলম গ্রহণের ব্যাপারে সাবধান করছি। এ ধরণের কোন লোক যদি বলে, এ উক্তি আমার জানা নেই অথবা কোন আলেম এমন অভিমত দেননি; এ কথা থেকেও আমি আপনাদেরকে সাবধান করছি। এ ধরণের কথায় তারা সত্যবাদী হতে পারে। যেহেতু তারা আলেমদের গ্রন্থগুলো চিনে না; কিতাবপুস্তক তারা পড়েনি; সে সম্পর্কে তারা কিচ্ছু জানে না।
যদি আমরা ধরে নিই এ ব্যাপারে আলেমগণের কিতাবে আমরা কিছুই পাইনি; কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি বলেননি: “আমল হয় নিয়ত দ্বারা”। অবশ্যই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ কথা বলেছেন।
যদি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ কথা বলে থাকেন, আর এ ব্যক্তি রোযা ভাঙ্গার নিয়ত করে; তাহলে কি তার রোযা ভাঙ্গবে? হ্যাঁ; ভাঙ্গবে।[লিকাউল বাব আল-মাফতুহ থেকে সংকলিত, ২০/২৯]
আল্লাহই ভাল জানেন।