আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
আমি আল্ট্রা সাউন্ড স্ক্যান করার জন্য প্রাইভেট ক্লিনিকে কর্মরত একজন মহিলা ডাক্তারের চেম্বারে গিয়েছি; যিনি আমার প্রতিবেশীনি। উচিত ছিল প্রথমবার আল্ট্রা সাউন্ডের খরচ বাবদ আমি ২০০ রিয়াল পরিশোধ করব। কিন্তু সেই ডাক্তার আমার থেকে কোন খরচ নেননি। যেহেতু আমি তার প্রতিবেশীনি। তিনি বিনা মূল্যে দুইবার আমাকে এই স্ক্যানটি করে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, আমি তাকে পেমেন্ট করতে চেয়েছি। এর জন্য আমার কি কোন গুনাহ হবে? এক্ষেত্রে এই ডাক্তারের কি কোন অধিকার আছে? উল্লেখ্য, স্ক্যানিং মেশিনের মালিক ক্লিনিক। আমার ধারণায় ডাক্তারের হাতে তার আত্মীয়স্বজন ও পরিচিতদের কিছু পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট দেয়ার অধিকার আছে। কিন্তু এ নিয়ে আমি পেরেশানীতে আছি। এমতাবস্থায় এই অর্থ ফিরিয়ে দেয়া কি আমার উপর ওয়াজিব; নাকি পাপটা ডাক্তারের; নাকি এটি জায়েয?
আলহামদু লিল্লাহ।.
যদি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ডাক্তারকে এমন ক্ষমতা দিয়ে থাকেন যে, তিনি কিছু রোগীর স্ক্যানিং ফ্রি করাতে পারেন তাহলে ডাক্তার যা করেছে এতে করে আপনার উপর কোন গুনাহ বর্তাবে না। আর যদি বিষয়টি এমন না হয়; তাহলে ক্লিনিকের যন্ত্রপাতি বিনামূল্যে ব্যবহার করা জায়েয নয়। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “কোন মুসলিমের সম্পদ তার সন্তুষ্টচিত্ত ছাড়া গ্রহণ করা বৈধ নয়”।[মুসনাদে আবু ইয়ালা, আলবানী সহিহুল জামে গ্রন্থে (৭৬৬২) হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন।]
আর যদি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ডাক্তারকে তার আত্মীয়স্বজন ও পরিচিতজনদেরকে কিছু ছাড় দেয়ার অনুমতি দেয় তাহলে আপনার কর্তৃব্য হবে ডিসকাউন্টের পার্সেন্টিজ বাদে অবশিষ্ট অর্থ ক্লিনিককে পরিশোধ করা।
আপনার উচিত হবে সেই ডাক্তারের কাছে তুলে ধরা যে, ক্লিনিক তাকে অনুমতি না দিলে এ কাজটি করা হারাম এবং ডাক্তারকে সম্মত করা যাতে করে তিনি চার্জ গ্রহণ করেন এবং ক্লিনিককে সেটি পরিশোধ করেন।
ইমাম নববী (রহঃ) ‘শারহুল মুহায্যাব’ গ্রন্থে (৯/৪২৮) বলেন:
“যদি কারো কাছে হারাম সম্পদ থাকে এবং সে এর থেকে তাওবা করতে চায় ও মুক্ত হতে চায়; যদি উক্ত সম্পদের নির্দিষ্ট কোন মালিক থাকে; তাহলে সেটি সেই মালিককে বা মালিকের প্রতিনিধিকে প্রদান করা ওয়াজিব। যদি মালিক মৃত হন তাহলে তার ওয়ারিশদেরকে পরিশোধ করা ওয়াজিব।”[সমাপ্ত]
তারা যে আপনাদের কাছে এই অর্থটি পাবেন এটা তাদেরকে জানানো আবশ্যকীয় নয়। বরঞ্চ অর্থটি তাদের কাছে যে কোনভাবে পৌঁছাই যথেষ্ট।
আল্লাহই সর্বজ্ঞ।