আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
সদ্য দ্বীনদারি অবলম্বনকারী যুবকের প্রতি আপনাদের উপদেশ কী?
আলহামদু লিল্লাহ।.
যে যুবক (ইনশআল্লাহ্) সঠিক গন্তব্যের দিকে আগাচ্ছে এমন যুবকের প্রতি আমাদের উপদেশ হচ্ছে:
এক: সঠিক পথে অটল ও অবিচল থাকার জন্য সার্বক্ষণিক আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা করা।
দুই: বুঝে বুঝে বেশি পরিমাণে কুরআনে কারীম তেলাওয়াত করা। বুঝে বুঝে অনুধাবন করে কুরআন পড়লে এ কুরআন মানুষের অন্তরের উপর ব্যাপক প্রভাব তৈরী করে।
তিন: আল্লাহ্র আনুগত্যের পথকে আঁকড়ে থাকার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকা। বিরক্তি ও অলসতা যেন তাকে স্পর্শ না করে। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি্ ওয়া সাল্লাম অক্ষমতা ও অলসতা থেকে আশ্রয় চেয়েছেন।
চার: সৎসঙ্গ গ্রহণে সচেষ্ট থাকা এবং অসৎসঙ্গ থেকে দূরে থাকা।
পাঁচ: যখন নফস তার উপর কুপ্রভাব ফেলতে চাইবে তখনি নফসকে (কুপ্রবৃত্তিকে) নসীহত করা। নফস বলতে পারে: দূরত্বও তো অনেক, রাস্তা অনেক দীর্ঘ। তখন সে নফসকে নসীহত করবে এবং অবিচল থাকবে। কারণ জান্নাত কষ্টক্লেশ দিয়ে পরিবেষ্টিত। আর জাহান্নাম ভোগবিলাস দিয়ে পরিবেষ্টিত।
ছয়: খারাপ সঙ্গি থেকে দূরে থাকা। যদিও তারা ইতিপূর্বে তার বন্ধু ছিল। কেননা খারাপ সঙ্গিরা তাকে প্রভাবিত করতে পারে। এ কারণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “খারাপ সঙ্গির উদাহরণ হচ্ছে– কামারের হাপরের ন্যায়; হয়তো তোমার কাপড় পুড়ে দিবে, নয়তো তুমি এর থেকে দুর্গন্ধ পাবে।”[সমাপ্ত]
শাইখ মুহাম্ম বিন উছাইমীন (রহঃ)
[লিকাআতুল বাব আল-মাফতুহ (১/১৫৩)]