আলহামদু লিল্লাহ।.
যে যুবক (ইনশআল্লাহ্) সঠিক গন্তব্যের দিকে আগাচ্ছে এমন যুবকের প্রতি আমাদের উপদেশ হচ্ছে:
এক: সঠিক পথে অটল ও অবিচল থাকার জন্য সার্বক্ষণিক আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা করা।
দুই: বুঝে বুঝে বেশি পরিমাণে কুরআনে কারীম তেলাওয়াত করা। বুঝে বুঝে অনুধাবন করে কুরআন পড়লে এ কুরআন মানুষের অন্তরের উপর ব্যাপক প্রভাব তৈরী করে।
তিন: আল্লাহ্র আনুগত্যের পথকে আঁকড়ে থাকার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকা। বিরক্তি ও অলসতা যেন তাকে স্পর্শ না করে। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি্ ওয়া সাল্লাম অক্ষমতা ও অলসতা থেকে আশ্রয় চেয়েছেন।
চার: সৎসঙ্গ গ্রহণে সচেষ্ট থাকা এবং অসৎসঙ্গ থেকে দূরে থাকা।
পাঁচ: যখন নফস তার উপর কুপ্রভাব ফেলতে চাইবে তখনি নফসকে (কুপ্রবৃত্তিকে) নসীহত করা। নফস বলতে পারে: দূরত্বও তো অনেক, রাস্তা অনেক দীর্ঘ। তখন সে নফসকে নসীহত করবে এবং অবিচল থাকবে। কারণ জান্নাত কষ্টক্লেশ দিয়ে পরিবেষ্টিত। আর জাহান্নাম ভোগবিলাস দিয়ে পরিবেষ্টিত।
ছয়: খারাপ সঙ্গি থেকে দূরে থাকা। যদিও তারা ইতিপূর্বে তার বন্ধু ছিল। কেননা খারাপ সঙ্গিরা তাকে প্রভাবিত করতে পারে। এ কারণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “খারাপ সঙ্গির উদাহরণ হচ্ছে– কামারের হাপরের ন্যায়; হয়তো তোমার কাপড় পুড়ে দিবে, নয়তো তুমি এর থেকে দুর্গন্ধ পাবে।”[সমাপ্ত]
শাইখ মুহাম্ম বিন উছাইমীন (রহঃ)
[লিকাআতুল বাব আল-মাফতুহ (১/১৫৩)]