আলহামদু লিল্লাহ।.
শোক পালনকালীন সময়ে নারীর জন্য নিষিদ্ধ হলো:
এক: প্রয়োজন বা জরুরী অবস্থা ছাড়া নিজ গৃহ থেকে বের না হওয়া। প্রয়োজন: যেমন, অসুস্থ হলে হাসপাতালে যাওয়া। এক্ষেত্রে দিনের বেলায় হাসপাতালে যাবেন। জরুরী অবস্থা: যেমন- ঘরটি ধ্বসে পড়ার উপক্রম হওয়া এবং নিজের উপর ধ্বসে পড়ার আশংকা করা কিংবা ঘরে আগুন লাগা কিংবা এ জাতীয় অন্য কিছু..।
আলেমগণ বলেন: প্রয়োজনের তাগিদে দিনে বের হবেন। পক্ষান্তরে জরুরী অবস্থা ছাড়া রাতে বের হবেন না।
দুই: সুগন্ধি। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইদ্দতপালনকারী নারীকে সুগন্ধি ব্যবহার করা থেকে বারণ করেছেন। তবে হায়েয থেকে পবিত্র হলে তিনি কিছু আযফার (এক প্রকার সুগন্ধি) ব্যবহার করবেন; যাতে করে হায়েযের দুর্গন্ধ দূর হয়ে যায়।
তিন: সুন্দর পোশাক না পরা; যে পোশাক সাজ হিসেবে গণ্য হয়। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর থেকে বারণ করেছেন। বরঞ্চ সাধারণ পোশাক পরবেন; বাসায় সাজসজ্জা ছাড়া যে পোশাক পরে থাকেন।
চার: সুরমা না লাগানো। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহিস ওয়া সাল্লাম এর থেকে বারণ করেছেন। যদি এটি না লাগিয়ে কোন উপায় না থাকে তাহলে রাতে এমনভাবে লাগাবেন যাতে এর রঙ ফুটে না ওঠে এবং দিনে মুছে ফেলবেন।
পাঁচ: অলংকার পরিধান না করা। কেননা যদি সুন্দর পোশাক পরিধান করা নিষিদ্ধ হয়; তাহলে অলংকার পরা নিষিদ্ধ হওয়া আরও অধিক যুক্তিপূর্ণ।
তার জন্য জায়েয— পুরুষদের সাথে কথা ও টেলিফোনে কথা বলা বলা জায়েয; যে ব্যক্তির বাসায় ঢুকার অধিকার আছে তাকে বাসায় ঢুকার অনুমতি দেয়া; বাসার ছাদে ওঠা রাতের বেলায় হোক কিংবা দিনের বেলায়। তার জন্য প্রতি জুমাবার গোসল করা অনিবার্য নয়; যেমনটি সাধারণ মানুষ ধারণা করে থাকে। অনুরূপভাবে প্রতি সপ্তাহে তার চুল খোলাও অনিবার্য নয়।
তেমনিভাবে ইদ্দত শেষ হওয়ার দিন তার সাথে কিছু নিয়ে বের হওয়া এবং প্রথম যে ব্যক্তির সাথে সাক্ষাত হবে তাকে সদকা করা অনিবার্য নয়; বরং তা শরিয়তে অনুমোদিত নয়। কেননা এটি বিদাতের অন্তর্ভুক্ত।