আলহামদু লিল্লাহ।.
যাকাত প্রদানের খাত আটটি। আল্লাহ তাঁর এ বাণীতে এ খাতগুলো উল্লেখ করেছেন- “যাকাত হল কেবল ফকির, মিসকীন, যাকাত আদায়কারী, যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তারা, দাস, ঋণগ্রস্ত, আল্লাহর পথে যারা আছে ও মুসাফিরদের জন্যে। এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়”।[সূরা তাওবা, আয়াত: ৬০]
যদি মসজিদের ইমাম বা মুয়াজ্জিন এ শ্রেণীর কেউ হন যেমন- যদি ফকির হন বা মিসকীন হন বা ঋণগ্রস্ত হন... তাহলে তাদেরকে যাকাতের মাল দেয়া জায়েয। বরং তারা অন্যদের চেয়ে বেশি হকদার। কেননা এর মাধ্যমে তাদের প্রয়োজন মিটবে এবং দায়িত্ব পালনে এটি তাদের জন্য সহায়ক হবে, এ শূণ্যতাটি পূরণ হবে। কিন্তু তারা যদি যাকাতের হকদার না হন তাহলে শুধু ইমামতি করা ও আজান দেয়ার কারণে তাদেরকে যাকাতের মাল দেয়া জায়েয হবে না।
ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটিকে জিজ্ঞেস করা হয়:
যাকাতের সম্পদে কি জামে মসজিদের ইমামের কোন অংশ আছে? অনুরূপভাবে সদকাতুল ফিতরের মধ্যে কি তাদের জন্য কোন অংশ আছে?
জবাবে তাঁরা বলেন:
আল্লাহ তাআলা তাঁর কিতাবে যাকাত বণ্টনের খাত উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন: “যাকাত হল কেবল ফকির, মিসকীন, যাকাত আদায়কারী, যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তারা, দাস, ঋণগ্রস্ত ও আল্লাহর পথে যারা আছে ও মুসাফিরদের জন্যে। এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়”।[সূরা তাওবা, আয়াত: ৬০] সুতরাং যদি জামে মসজিদের ইমাম এ শ্রেণীর কেউ হন তাহলে তাকে যাকাত দেয়া জায়েয হবে; নচেৎ জায়েয হবে না।[স্থায়ী কমিটির ফতোয়াসমগ্র (৯/৩৮১) থেকে সমাপ্ত]
শাইখ বিন জিবরীন বলেন:
ইমাম-মুয়াজ্জিনের বেতন হিসেবে যাকাত দেয়া জায়েন হবে না। তবে যদি ইমাম-মুয়াজ্জিন ফকির বা মিসকীন হন তার দরিদ্রতা ও প্রয়োজনের কারণে তাকে যাকাত দেয়া যাবে; ইমাম বা মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করার বদলে পারিশ্রমিক হিসেবে নয়। শাইখের ওয়েব সাইট থেকে সমাপ্ত]
আরও জানতে দেখুন 46209 নং প্রশ্নোত্তর।
আল্লাহই ভাল জানেন।