আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
তিন বছর পূর্বে আমাকে তালাক্ব দেয়া হয়েছে। একজন উকিলের মাধ্যমে যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল। আমার পূর্বের স্বামী কোন প্রকার আলোচনায় রাজি ছিলেন না। সে জন্য আমাদের মাঝে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। আমি যা জানতে চাচ্ছি সেটা হলো: আমার স্বামী এখনো সরাসরি আমাকে তালাক্ব শব্দ বলেনি। কেউ কেউ আমাকে বলেছেন যে, সে আমাকে মুখোমুখি এ শব্দটি বলা আবশ্যকীয়। আশা করব, আপনারা বিষয়টি পরিস্কার করবেন। কারণ এটি আমাকে বিচলিত করছে।
আলহামদু লিল্লাহ।.
স্বামী কর্তৃক তালাক্ব শব্দ স্ত্রীর সামনে উচ্চারণ করা কিংবা তাকে অবহিত করা তালাক্ব কার্যকর হওয়ার জন্য শর্ত নয়। পুরুষ লোক যখনই তালাক্ব উচ্চারণ করবে কিংবা লিখবে; সেটাই সঠিক ও কার্যকর তালাক্ব হিসেবে গণ্য হবে; এমনকি স্ত্রী যদি না জানে তবুও।
যদি আপনার স্বামী তালাক্বের যাবতীয় প্রক্রিয়া কোন উকিলের মাধ্যমে সম্পন্ন করে থাকেন তাহলে এই তালাক্ব প্রদান সঠিক ও কার্যকর। দেখুন: 20666 নং ও 20660 নং প্রশ্নোত্তর।
শাইখ ইবনে উছাইমীন (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল:
এক লোক দীর্ঘ দিন তার স্ত্রীর কাছ থেকে অনুপস্থিত। সে তার স্ত্রীকে নিজে মনে মনে তালাক্ব দিয়েছে। কিন্তু স্ত্রীকে এটি জানায়নি। এই তালাক্ব কি পতিত হবে?
জবাবে তিনি বলেন:
তালাক্ব পতিত হবে। এমনকি স্ত্রীকে যদি না জানায় তবুও। ব্যক্তি যখনই তালাক্ব উচ্চারণ করবে এবং বলবে: ‘আমি আমার স্ত্রীকে তালাক্ব দিলাম’; স্ত্রী তালাক্ব হয়ে যাবে; চাই সেটি স্ত্রী জানুক কিংবা না জানুক। যদি ধরে নেয়া হয় যে, এই স্ত্রী তাকে তালাক্ব দেয়ার বিষয়টি তিন হায়েয অতিবাহিত হওয়ার আগে অবগত হয়নি সেক্ষেত্রেও তার ইদ্দত পালন শেষ; যদিও সে বিষয়টি জানেনি। অনুরূপভাবে যদি কোন লোক মারা যায়; কিন্তু স্ত্রী ইদ্দতের সময় শেষ হওয়ার আগে খবর পায়নি; সেক্ষেত্রে স্ত্রীর উপর আর কোন ইদ্দত নেই। যেহেতু ইদ্দতকাল শেষ হয়ে যাওয়ার মাধ্যমে ইদ্দত পালন শেষ হয়ে গিয়েছে।[সমাপ্ত]
ফাতাওয়া ইবনে উছাইমীন (২/৮০৪)]