বৃহস্পতিবার 18 রমজান 1445 - 28 মার্চ 2024
বাংলা

ষাটজন মিসকীনকে একসাথে খাওয়ানো কি ওয়াজিব? নিজ পরিবারকে কি কাফফারা হতে খাওয়ানো যায়?

প্রশ্ন

আমি স্বেচ্ছায় রমজান মাসে একদিন রোযা ভেঙ্গে ফেলেছিলাম। এখন ষাটজন মিসকীনকে খাওয়ানোর নিয়্যত করেছি। প্রশ্ন হচ্ছে-মিসকীনদেরকে কি একবারেই খাওয়ানো শর্ত, নাকি আমি প্রতিদিন তিন বা চারজন করে মিসকীন খাওয়াতে পারি? আমার পরিবারের সদস্যরা (যেমন আমার বাবা,মা ও ভাইয়েরা) যদি মিসকীন হয়ে থাকে আমি কি তাদেরকে খাওয়াতে পারি।

উত্তর

আলহামদু লিল্লাহ।.

সহবাসছাড়াঅন্যকোনোমাধ্যমেযদিরমজানেররোযাভঙ্গকরাহয়েথাকে, তবেসঠিকমতানুযায়ীএরকোনকাফফারানেই।তবেএক্ষেত্রেওয়াজিবহলতওবাকরাএবংসেইদিনেররোযা কাযাকরা।আরযদিসহবাসেরমাধ্যমে রোযাভঙ্গকরাহয়েথাকেতবেসেক্ষেত্রেতওবাকরতে হবে,সেইদিনেররোযা কাযাকরতে হবে এবংকাফফারাআদায়করতে হবে।রোযার কাফফারাহলোএকজনমুমিনদাসমুক্তকরা। যদি তা না পাওয়া যায়সে ক্ষেত্রেলাগাতর দুইমাসসিয়ামপালনকরতে হবে।আরসেটাও যদি তার পক্ষে সম্ভবপর নাহয়তবেসেব্যক্তি ষাটজনমিসকীনকেখাওয়াবে।

যদি সে ব্যক্তি পূর্বে উল্লেখিত দাসমুক্তি ও সিয়াম পালনে অক্ষমতার কারণে মিসকীন খাওয়ায় তবে তাঁর জন্য মিসকীনদেরকে একসাথে খাওয়ানো জায়েয।অথবা সাধ্যমত কয়েকবারে খাওয়ানোও জায়েয।তবে মিসকীনদের সংখ্যা অবশ্যই ষাট পূর্ণ করতে হবে।এই কাফফারারখাবার বংশমূল যেমন- বাবা,মা,দাদা,দাদী,নানা,নানী এদেরকে প্রদান করা জায়েয নয়।একইভাবে যারা বংশধর (শাখা) যেমন ছেলেমেয়ে, ছেলেমেয়েদের ছেলেমেয়ে তাদেরকেও প্রদান করা জায়েযনয়।

আল্লাহই তাওফিক দাতা। আল্লাহ আমদের নবী মুহাম্মাদ, তার পরিবারবর্গ ও সাহাবীগণের প্রতিরহমত ও শান্তি বর্ষণ করুন।”সমাপ্ত।

গবেষণা ও ফতোয়াবিষয়ক স্থায়ী কমিটি

আশ-শাইখ ইবনে‘আবদুল্লাহ ইবনে ‘আবদুল ‘আযীয বিন বায, আশ-শাইখ ‘আবদুল্লাহ ইবনে গুদাইইয়ান, আশ-শাইখ সালেহ আল ফাওযান,আশ-শাইখ ‘আবদুল ‘আযীয আল আশ-শাইখ, আশ-শাইখ বাক্‌র আবু যাইদ।

সূত্র: ফাতাওয়াল লাজ্‌নাদ্‌ দায়িমা, দ্বিতীয় গ্রুপ (৯/২২১)