আলহামদু লিল্লাহ।.
সর্বস্তরের আলেমদের মতে, শিশুর গোসল দিতে হবে এবং তার জানাযার নামায পড়তে হবে। ইবনে কুদামা (রহঃ) বলেন: “কোন মতভেদ ছাড়া”। ইবনুল মুনযির এই মর্মে আলেমদের ইজমা বর্ণনা করেছেন যে, তার জানাযার নামায পড়তে হবে।[আল-মুগনী (৩/৪৫৮)]
শিশুর জানাযার নামায পড়ার সময় তার জন্য মাগফিরাত (ক্ষমা)-র দোয়া করা হবে না। তাই দোয়াতে বলা হবে না যে: اللهم اغفر له (হে আল্লাহ্! তাকে ক্ষমা করুন।) যেহেতু শিশুর কোন পাপ লেখা হয়নি। বরঞ্চ শিশুর পিতামাতার জন্য মাগফিরাত ও রহমতের দোয়া করা হবে। যেহেতু এই মর্মে আবু দাউদ (৩১৮০) ও তিরমিযি (১০৩১) আল-মুগিরা বিন শুবা (রাঃ) এর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেন: “শিশুর জানাযার নামায পড়া হবে এবং তার পিতামাতার জন্য মাগফিরাত ও রহমতের দোয়া করা হবে।”[আলবানী আহকামুল জানায়িয গ্রন্থে, পৃষ্ঠা-৭৩ হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন]
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ। আমাদের নবী মুহাম্মদ, তাঁর পরিবার-পরিজন ও সাহাবীবর্গের প্রতি আল্লাহ্র রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক।