আলহামদু লিল্লাহ।.
প্রতি বছর শেষে কোম্পানী যে অংশটি প্রদান করে এটি কর্মীদের পারিশ্রমিক ও বেতনের একটি অংশ। যেহেতু এই অর্থটি আলাদা করে কর্মীর জন্য নির্দিষ্ট একাউন্টে রাখা হয় সুতরাং এটি উক্ত কর্মীর মালিকানাধীন সম্পদ হিসেবে গণ্য। কিন্তু চাকুরীকালীন সময়ে, রিটার্ড করার আগে এ অর্থের মধ্যে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ না দেওয়াটা এ অর্থের উপর তার মালিকানাকে খর্ব করে; যদিও মূল মালিকানাকে বাতিল করে না।
কোম্পানী কর্তৃক এ অর্থটি সুদি ব্যাংকে রাখা নিরেট অন্যায় ছাড়া আর কিছু নয়। যেহেতু তারা হারামভাবে অর্থটি জমা রেখে তার অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ করেছে। যদি আমরা এ কথা ধরেও নিই যে, চাকুরীর চুক্তিপত্রে সই করার মাধ্যমে তার সম্মতির ভিত্তিতে এই অর্থের উপর হস্তক্ষেপ করা থেকে তাকে বিরত রাখা হচ্ছে। কিন্তু তদুপরি কোন অবস্থায় এই অর্থ সুদী কারবারে জমা রাখা তাদের জন্য বৈধ হতে পারে না।
এ অর্থটি গ্রহণ করার পর কর্মীর উপর আবশ্যক হবে: এটাকে সুদ মুক্ত করা; যদিও শুরুতে তিনি তাতে সন্তুষ্ট ছিলেন না। কেননা এ সুদ তার অর্থ থেকে উৎপন্ন। তিনি সম্পদকে মুক্ত করবেন এভাবে: অতিরিক্ত সুদটা কোন ভাল কাজে দান করে দিবেন; যাতে করে হারাম মাল থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারেন। তবে, অতিরিক্ত সুদটা তাদের জন্য রেখে দিবেন না।
আর যদি বিষয়টি এমন হয় যে, এ সম্পদকে নিরেট সুদের মাধ্যমে বৃদ্ধি করা নতুবা হারামমিশ্রিত বিনিয়োগের মাধ্যমে বৃদ্ধি করা: তাহলে নিঃসন্দেহে দ্বিতীয় অপশনটি প্রথমটির চেয়ে কম গুরুতর। সে ক্ষেত্রেও অর্থটি গ্রহণ করার পর হারাম অংশ থেকে এটাকে মুক্ত করা আবশ্যকীয়। সাধ্যানুযায়ী হারাম অংশের পরিমাণ নির্ধারণ করার চেষ্টা করবে।
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।