আলহামদু লিল্লাহ।.
শিশু-সন্তান পালক গ্রহণ দুই প্রকার: জায়েয ও নাজায়েয।
নাজায়েয পালক গ্রহণ: কোন শিশুকে নিজ সন্তান হিসেবে গ্রহণ করা। নিজ সন্তানের জন্য যে যে বিধিবিধান সেসব বিধিবিধান এ পালক সন্তানের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা। এ ধরনের পালক গ্রহণ জায়েয নেই। কুরআনে কারীমে আল্লাহ তাআলা এ ধরনের পালক গ্রহণকে নাজায়েয ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন: “এবং তোমাদের পোষ্যপুত্রদেরকে তোমাদের পুত্র করেননি।”[সূরা আহযাব, ৩৩:০৪]
অন্য প্রকারটি হচ্ছে- জায়েয। কখনো কখনো এটি মুস্তাহাবও হতে পারে। এটি হচ্ছে- শিশুটির প্রতি অনুগ্রহ করা। তাকে ইসলামের আলোকে উত্তম লালন-পালন, সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান এবং দ্বীন ও দুনিয়ার জন্য কল্যাণকর জ্ঞান শিক্ষা দান। কিন্তু পালক গ্রহণেচ্ছু ব্যক্তির আমানতদারী, দ্বীনদারি ও উত্তম চরিত্রের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া ব্যতিরেকে এবং তার কাছে পোষ্যশিশুর কল্যাণ নিশ্চিত না হয়ে তাকে শিশুটি দেয়া যাবে না এবং এমন কোন ব্যক্তিকে শিশুটি দেয়া যাবে না যে ব্যক্তি শিশুটিকে অন্য কোন দেশে নিয়ে যাবে যেই দেশে থাকলে ভবিষ্যতে শিশুটির দ্বীনদারি নষ্ট হতে পারে। উল্লেখিত শর্তাবলীর আলোকে কুড়িয়ে পাওয়া, পিতৃপরিচয়হীন শিশুকে অন্য ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর করা যাবে। আল্লাহ আপনাদেরকে হেফাযত করুন।