রবিবার 21 জুমাদাল ছানী 1446 - 22 ডিসেম্বর 2024
বাংলা

চোখের পাপড়িতে মাশকারা ব্যবহার করা যা পানি পৌঁছাকে বাধাগ্রস্ত করে

প্রশ্ন

আমরা একদল নারী যিনি তার চোখের পাপড়িতে মাশকারা দেন তার ওযুর ব্যাপারে জানতে আগ্রহী। মাশকারা চোখের পাপড়িতে ব্যবহারযোগ্য এক ধরণের রঙ; যা রূপচর্চা হিসেবে ব্যবহার করা হয়; যা চোখের পাপড়িকে সুন্দর আকৃতি দেয় এবং কখনও ঘন করে। এই মাশকারাগুলোর মধ্যে কোন কোনটিতে পানি প্রবেশ করে। আর কোন কোনটিতে পানি প্রবেশ করে না; যেটাকে ইংরেজীতে বলে: waterproof। আমরা জানি যে, ওযুর পানি চোখের পাপড়িতে পৌঁছতে হবে। তাই এই অবস্থায় ওযুর হুকুম কি হবে?

উত্তর

আলহামদু লিল্লাহ।.

ওযু ও গোসলের ক্ষেত্রে চোখের পশম বা পাপড়িতে পানি পৌঁছা ওয়াজিব। যেহেতু এটি চেহারার গণ্ডিতে রয়েছে; যা ধৌত করার আদেশ এসেছে। অনুরূপভাবে চোখের ভ্রূ, গালের পশম, মোচ ও দাড়ি ধৌত করতেও আদিষ্ট।

‘আর-রওদুল মুরবি’ গ্রন্থে বলেন: “চেহারাতে বিদ্যমান হালকা চুল যার নীচ দিয়ে চামড়া দেখা যায় তা ধৌত করবে। যেমন: চোখের পশম, মোচ ও নিম দাড়ি। কেননা সেগুলো চেহারার অন্তর্ভুক্ত।”[সংক্ষেপিত ও পরিমার্জিতভাবে সমাপ্ত]

দেখুন: “আল-মাজমু” (১/৩৭৬), “মাওয়াহিবুল জালিল” (১/১৮৫)

উপরোক্ত  আলোচনার প্রেক্ষিতে: যদি মাসকারার কালার পশমে পানি পৌঁছাকে বাধাগ্রস্ত না করে তাহলে ওযু শুদ্ধ। আর যদি পানি পোঁছাকে বাধাগ্রস্ত করে তাহলে ওযু ও গোসল করার আগে মাশকারার কালার অপসারণ করা ওয়াজিব। কেননা ওযু-গোসল শুদ্ধ হওয়ার জন্য শর্ত হলো যা কিছু ওযুর অঙ্গে পানি পৌঁছাকে বাধাগ্রস্ত করে সেটাকে অপসারণ করা।

ইমাম নববী “আল-মাজমু” গ্রন্থে (১/৪৯২) বলেন: “যদি কোন অঙ্গের কোন অংশে মোম, আঠা কিংবা মেহেদি এ জাতীয় কিছু লেগে থাকে; যা অঙ্গটির কিছু অংশে পানি পৌঁছাকে বাধাগ্রস্ত করে তার পবিত্রতা অর্জন সহিহ হবে না; চাই সেটি পরিমাণে বেশি হোক কিংবা কম হোক।”[সমাপ্ত]

আল্লাহই সর্বজ্ঞ।

সূত্র: ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব