মঙ্গলবার 18 জুমাদাল আউওয়াল 1446 - 19 নভেম্বর 2024
বাংলা

বিদ্যালয়ে মেয়ে ক্লাশমেটের সাথে ছেলে ক্লাশমেটের করমর্দনের বিধান

21608

প্রকাশকাল : 26-11-2015

পঠিত : 11701

প্রশ্ন

কোন ছাত্রের জন্য তার মেয়ে ক্লাশমেটের সাথে করমর্দনের বিধান কি; যদি সে ক্লাশমেট সালাম করার জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়?

উত্তর

আলহামদু লিল্লাহ।.

মেয়েদের সাথে একত্রে একই স্থানে, কিংবা একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, কিংবা একই বেঞ্চিতে সহশিক্ষা নাজায়েয। এটি ফেতনার তথা নৈতিক পদস্খলনের সবচেয়ে বড় মাধ্যম। এ ফেতনার কারণে কোন ছেলে কিংবা মেয়ের জন্য এ ধরনের সহশিক্ষা জায়েয নেই। কোন মুসলমানের জন্য বেগানা নারীর সাথে করমর্দন করা হারাম; এমনকি সে নারী যদি হাত বাড়িয়ে দেয় তবুও। বরং সে নারীকে বলতে হবে, বেগানা পুরুষের সাথে করমর্দন জায়েয নয়। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সাব্যস্ত হয়েছে যে, তিনি নারীদের বাইআত গ্রহণকালে বলেছিলেন: “আমি নারীদের সাথে মুসাফাহা করি না”। এবং আয়েশা (রাঃ) থেকেও সাব্যস্ত হয়েছে যে, তিনি বলেন: “আল্লাহর শপথ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাত কখনো কোন নারীর হাতকে স্পর্শ করেনি। তিনি কথার মাধ্যমে নারীদেরকে বাইআত করাতেন”। আল্লাহ তাআলা বলেন: “অবশ্যই তোমাদের জন্য রয়েছে রাসূলুল্লাহর মধ্যে উত্তম আদর্শ, ঐ ব্যক্তির জন্য যে প্রত্যাশা করে আল্লাহকে ও শেষ দিবসকে এবং আল্লাহকে বেশী স্মরণ করে”[সূরা আহযাব, আয়াত: ২১] আর যেহেতু গাইরে মোহরেম নারীদের সাথে করমর্দন করা উভয় পক্ষের জন্য ফেতনার মাধ্যম। তাই এটি বর্জন করা ফরজ।

কিন্তু শরিয়তসম্মত সালাম দেয়া যেতে পারে। যে সালামে ফেতনার গন্ধ থাকবে না, মুসাফাহা করবে না, কোন সন্দেহের উদ্রেক করবে না, কণ্ঠস্বর কোমল করবে না, হিযাব পরা থাকবে এবং নিভৃতে হবে না। এ ধরনের সালামে কোন অসুবিধা নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন: “হে নবী পত্নিগণ, তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় কর তবে তোমরা অন্য নারীদের মত নও। সুতরাং পর-পুরুষের সাথে কোমল কণ্ঠে কথা বলো না; এতে যার অন্তরে ব্যাধি আছে সে প্রলুব্ধ হয়। তোমরা স্বাভাবিক কথা বল।” [সূরা আহযাব, আয়াত: ৩২] যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যামানায় নারীরা তাঁকে সালাম দিত এবং কোন কিছু জানার থাকলে সে বিষয়ে ফতোয়া জিজ্ঞেস করত। এভাবে নারীরা কোন কিছু জানার থাকলে সাহাবায়ে কেরামের নিকটও ফতোয়া জিজ্ঞেস করত।

পক্ষান্তরে নারীদের সাথে নারীদের, কিংবা মোহরেম নারীদের সাথে পুরুষদের যেমন- পিতা, ভাই, চাচা প্রমুখের সাথে মুসাফাহা করতে কোন বাধা নেই।

সূত্র: স্থায়ী কমিটির ফতোয়া সংকলন ‘আল-ফাতাওয়া আল-জামেয়া লিল মারআতিল মুসলিমা’ খণ্ড-৩, পৃষ্ঠা-৯৮৮