আলহামদু লিল্লাহ।.
আপনি বলেছেন: “একবার আমি স্নায়ুর উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে ইচ্ছা করে পানি খেয়ে ফেলেছি”।
আপনি যদি এর দ্বারা বুঝাতে চান যে, আপনার মুখে কুলির যে পানি রয়েছে সেটা বা সেটার কিছু অংশ গিলে ফেলেছেন: তাহলে আপনার রোযা ভেঙ্গে গেছে। এক্ষেত্রে আপনার উপর ফরয হল– তওবা করা এবং সে দিনের রোযার কাযা পালন করা।
আর আপনি যদি এর দ্বারা বুঝাতে চান যে, কুলি করার পর মুখের পানি বাহিরে ফেলে দিয়ে থুথু গিলে ফেলেছেন: তাহলে আপনার উপর কোন কিছু আবশ্যক নয়। বুজাইরিমি (রহঃ) তার ‘হাশিয়াতে’ (২/৩৭৮) বলেন: “গড়গড়া কুলি করার পর থুথু ফেলে দেয়া সম্ভব হওয়া সত্ত্বেও গিলে ফেললে কোন অসুবিধা নেই। যেহেতু এর থেকে বেঁচে থাকা কঠিন।”[সমাপ্ত]
অনুরূপভাবে আপনি বলেছেন: “আমার মুখের ভেতরে ওযুর কিছু পানি রয়ে গিয়েছিল”:
যদি এই পানিটি কুলির পানি হয় তাহলে আপনার রোযা ভেঙ্গে গেছে। আপনাকে এর কাযা পালন করতে হবে।
আর যদি কুলি করার পর ও মুখ থেকে পানি ফেলে দেয়ার পর মুখে যে আর্দ্রতা থাকে সেটা হয়ে থাকে: তাহলে অগ্রগণ্য মতানুযায়ী আপনার উপর কোন কিছু আবশ্যক নয়।
তিন:
যদি কেউ তার দাঁতের মাঝে আটকে থাকা খাবার ইচ্ছাকৃতভাবে গিলে ফেলে; যা সে বের করে ফেলতে সক্ষম, তাহলে এর দ্বারা তার রোযা ভেঙ্গে যাবে। আর যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে গিলে ফেলে; যেমন থুথুর সাথে গলার ভেতরে চলে গেল, এটাকে ফিরাতে পারল না; তাহলে তার রোযা সহিহ। তার উপর কোন কিছু আবশ্যক নয়।
দেখুন: 78438 নং প্রশ্নোত্তর।
প্রশ্নকারী বোনের কথা থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে মুখে থাকা খাবার গিলে ফেলেছেন এবং উঠে গিয়ে মুখ পরিস্কার করতে অলসতা করেছেন। যদি সেটা রাতের বেলায় ঘটে থাকে তাহলে তার উপর কোন কিছু আবশ্যক হবে না। আর যদি ফজর হওয়ার পর ঘটে থাকে তাহলে তাকে আল্লাহ্র কাছে তওবা করার পাশাপাশি সে দিনের রোযা কাযা পালন করতে হবে।
চার:
যে ব্যক্তির অনিচ্ছাকৃতভাবে বমি চলে এসেছে; তার উপর কোন কিছু আবশ্যক নয়, তার রোযা সহিহ। আর যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করেছে তাকে রোযাটি কাযা পালন করতে হবে।
দেখুন: 95296 নং প্রশ্নোত্তর।
যে ব্যক্তির অনিচ্ছাকৃতভাবে বমি আসার পর তিনি বমি গিলে ফেলেছেন; যদি তিনি সেটা অনিচ্ছাকৃতভাবে করে থাকেন তাহলে তার উপর কোন কিছু আবশ্যক হবে না। আর যদি ইচ্ছাকৃতভাবে গিলে ফেলেন তাহলে তার রোযা নষ্ট হয়ে গেল এবং তার উপর কাযা পালন করা আবশ্যক। স্থায়ী কমিটির আলেমগণ বলেন: যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করে তাহলে তার রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। আর যদি বমি এসে যায় তাহলে তার রোযা নষ্ট হবে না। অনুরূপভাবে অনিচ্ছাকৃতভাবে বমি গিলে ফেললেও রোযা নষ্ট হবে না।[ফাতাওয়াল লাজনা দায়িমা (১০/২৫৪)]
আরও জানতে দেখুন: 115155 নং প্রশ্নোত্তর।