আলহামদু লিল্লাহ।.
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক। যে ব্যক্তি হজ্জ করার শক্তি, সামর্থ্য রাখেন কিন্তু এরপরও ফরজ হজ্জ আদায় করছেন না, বরঞ্চ গড়িমসি করছেন তিনি বড় ধরনের গুনাহ ও নাফরমানিতে লিপ্ত রয়েছেন। তাঁর কর্তব্য হচ্ছে- আল্লাহর কাছে তওবা করা এবং অনতিবিলম্বে হজ্জ আদায় করা। যেহেতু আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন: “এবং সামর্থ্যবান মানুষের উপর আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ্জ আদায় করা ফরয। আর যে ব্যক্তি কুফরী করে, তবে আল্লাহ তো নিশ্চয় সৃষ্টিকুল থেকে অমুখাপেক্ষী।”[সূরা আলে ইমরান, ৩:৯৭]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন:
“ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। এই সাক্ষ্য দেয়া যে, নেই কোন সত্য উপাস্য শুধু আল্লাহ ছাড়া এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল (বার্তাবাহক)। নামায কায়েম করা। যাকাত প্রদান করা। রমজান মাসে রোযা রাখা। বায়তুল্লাহতে হজ্জ আদায় করা।”[মুত্তাফাকুন আলাইহি, সহীহ বুখারী (৮), সহীহ মুসলিম (১৬)]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যখন জিব্রাইল (আঃ) ইসলাম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছেন তখন তিনি বলেছেন: “আপনি সাক্ষ্য দিবেন যে, নেই কোন সত্য উপাস্য শুধু আল্লাহ ছাড়া এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল (বার্তাবাহক)। নামায কায়েম করবেন। যাকাত প্রদান করবেন। রমজান মাসে রোযা পালন করবেন। বায়তুল্লাতে যাওয়ার সামর্থ্য রাখলে হজ্জ আদায় করবেন।”[এ হাদিসটি ইমাম মুসলিম তাঁর সহীহ গ্রন্থে (৮) ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন]
আল্লাহই তাওফিকদাতা।[সমাপ্ত]