বৃহস্পতিবার 25 জুমাদাল ছানী 1446 - 26 ডিসেম্বর 2024
বাংলা

পরীক্ষায় নকল করে প্রথম হয়েছে, এ কারণে তাকে পুরস্কারও দেওয়া হয়েছে; এটা কি তার জন্য হালাল হবে?

প্রশ্ন

শহর ব্যাপী যারা প্রথম স্থান অধিকার করেছিল তাদের সৌজন্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমি যে কম্পিউটার পেয়েছিলাম সেটার অর্থ কি দান করে দিতে হবে? যেহেতু আমি পরীক্ষায় নকল করেছি। আমি জানি না, শহরের সকল ছেলে কি নকল করেছে; নাকি করেনি। ঐ ঘটনার পর অনেক বছর পার হয়ে গেছে। তবে আমার পজিশন ছিল অন্য এক মেয়ের সাথে সম্মিলিত। এর মানে আমি নিজেকে অভিযুক্ত বিবেচনা করি। আমি জানি না সে মেয়েও নকল করেছিল; নাকি করেনি।

উত্তর

আলহামদু লিল্লাহ।.

যদি আপনি পরীক্ষায় নকল করে থাকেন এবং প্রথম স্থান অর্জনকারীদের মধ্যে থেকে পুরষ্কার পান তাহলে এ পুরষ্কার আপনার জন্য জায়েয হবে না। আপনার উপর আবশ্যক হচ্ছে পুরষ্কার প্রদানকারী কর্তৃপক্ষকে পুরষ্কারটি ফিরিয়ে দেওয়া। কিংবা কম্পিউটারের মূল্য ফিরিয়ে দেওয়া; যদি দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার কারণে কম্পিউটারের উপযোগ শেষ হয়ে যায়। কেননা এটি এমন সম্পদ যা প্রকৃতপক্ষে প্রথম স্থান অধিকারকারীদেরকে দেওয়া হয়; প্রতারণা করে নয়। আপনার ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়। ফলে আপনি এর হকদার নন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা আবশ্যক নয়। বরং আপনি এ মূল্য তাদের একাউন্টে জমা করে দেওয়াই যথেষ্ট কিংবা তাদেরকে পরিশোধ করে দিবেন; এমনকি সেটা যদি অনুদান হিসেবে হয় তবুও।

যদি তাদেরকে ফেরত দেওয়া সম্ভবপর না হয় তাহলে এ সম্পদ আপনি এ ধরণের কোন খাতে ব্যয় করুন। যেমন এমন কোন প্রতিষ্ঠান হওয়া যারা শিক্ষা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে নিয়োজিত। আপনি একটি কম্পিউটার কিনবেন এবং সেটা কোন প্রতিষ্ঠানে দিয়ে দিবেন। এভাবে আপনার জিম্মাদারি মুক্ত হবে।

এ পুরষ্কারটি আপনার জন্য হালাল নয়। এমনকি সকল ছাত্র যদি নকল করে তবুও। তারা সকলে যদি তা করে তাহলে তাদের কারো জন্য এ পুরুস্কারটি গ্রহণ করা জায়েয নয়।

এর সাথে নকল থেকে তওবা করা আবশ্যক। কেননা নকল করা কবিরা গুনাহ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: "যে ব্যক্তি নকল/প্রতারণা করে সে আমার দলভুক্ত নয়"।[সহিহ মুসলিম (১০২)]

সূত্র: ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব