রবিবার 21 জুমাদাল ছানী 1446 - 22 ডিসেম্বর 2024
বাংলা

যে ব্যক্তির অনাদায়কৃত ফরজ নামাজ ও ফরজ রোযার সংখ্যা মনে নেই, তার করণীয় কি?

প্রশ্ন

প্রশ্ন : যদি কোন মুসলিমের অনাদায়কৃত সালাত ও সিয়ামের সংখ্যা মনে না থাকে, তবে তিনি কিভাবে নামাজ ও রোযার কাযা করবেন?

উত্তর

আলহামদু লিল্লাহ।.

অনাদায়কৃত সালাতের ক্ষেত্রে তিনটি অবস্থা হতে পারে :

প্রথম অবস্থা :

ঘুম বা ভুলে যাওয়ার মত শরিয়ত অনুমোদিত ওজরের কারণে সালাত ছুটে যাওয়া। এ অবস্থায় তার উপরছুটে যাওয়া নামাযকাযা করা ওয়াজিব। এর দলীল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লামএর বাণী:“যেব্যক্তি সালাত আদায় করতে ভুলে গেছে অথবা সালাত না পড়ে ঘুমিয়ে ছিল,এরকাফফারা হচ্ছে- সে যখনই তা মনে করবে তখনই সালাত আদায় করে নিবে।”[হাদিসটি ইমাম বুখারী (৫৭২)ও মুসলিম (৬৮৪) বর্ণনা করেছেন। হাদিসটির ভাষা ইমাম মুসলিমের]

মাযগুলো যে ধারাবাহিকতায় তার উপর ওয়াজিবছিল সে ধারাবাহিকতায় তিনি কাযা করবেন। প্রথম নামাযটি প্রথমে আদায় করবেন। এর দলীল জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ)এর হাদিস-“উমর ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহুআনহু) খন্দকের যুদ্ধের দিন সূর্যাস্তের পর এসে ক্বুরাইশ কাফিরদের গালি দিতে দিতে বললেন:“ইয়া রাসূলুল্লাহ, আমি আসরের সালাত আদায় করতে করতে সূর্য তো ডুবেই যাচ্ছিল!”নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন:“আল্লাহর শপথ,আমিতোএখনো আসরের সালাত আদায় করতে পারিনি।”তারপরআমরা উঠে বুত্বহান নামক উপত্যকায়গেলাম।সেখানে তিনিসালাতের জন্য ওজুকরলেন। আমরাও সালাতের জন্য ওজু করলাম।তিনি যখনআসরের সালাত পড়ালেনতখন সূর্য ডুবেগেছে।আসরের পর তিনি মাগরিবের সালাত পড়ালেন।”[হাদিসটি বর্ণনা করেছেন ইমাম বুখারী (৫৭১)ও মুসলিম (৬৩১)]

দ্বিতীয় অবস্থা:

এমন ওজরের কারণেসালাত ছুটে যাওয়াযে সময় ব্যক্তিরকোন হুঁশ থাকে না।যেমন-অজ্ঞান হওয়া। এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার ব্যক্তিকে সালাতের বিধান থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তাই তাকে উক্ত সালাতেরকাযা করতে হয় না।

গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির আলেমগণকে কোন এক ব্যক্তি কর্তৃক প্রশ্ন করা হয়েছিল: আমি সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলাম। এর ফলে তিনমাসহাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ছিলাম। এসময়ে আমার হুঁশ ছিল না। এ পুরো সময়ে আমি কোন সালাত আদায় করিনি।আমি কি এ সালাতগুলো কাযা করা থেকে অব্যাহতি পাব? নাকি আমাকে এ সালাতগুলো কাযা করতে হবে?

তাঁরা উত্তরে বলেন:“উল্লেখিত সময়ের সালাত কাযা করা থেকে আপনি অব্যাহতি পাবেন। কারণ তখন তো আপনার কোন হুঁশ ছিল না।”[উদ্ধৃতি সমাপ্ত]

তাঁদেরকে আরো প্রশ্ন করা হয়েছিল: যদি কেউ এক মাস অজ্ঞান অবস্থায় থাকে এবং এ পুরো সময়টাতেকোন সালাত আদায় না করে,তবে ইনিছুটে যাওয়া সালাত কি পদ্ধতিতে আদায় করবেন?

তাঁরা উত্তরে বলেন: “এ সময়ে যে সালাতসমূহ বাদ গিয়েছে তা কাযা করতে হবে না। কারণ উল্লেখিত অবস্থায় তিনি বিকারগ্রস্ত ব্যক্তির হুকুমের মধ্যে পড়েন।বিকারগ্রস্ত ব্যক্তির উপর থেকে তো (শরয়ি বিধান আরোপের) কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে।”[উদ্ধৃতি সমাপ্ত]

[গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির ফতোয়াসমগ্র(৬/২১)]

তৃতীয় অবস্থা:

ইচ্ছাকৃতভাবে কোন ওজর ছাড়া সালাত ত্যাগ করা,আর তা কেবল দুই ক্ষেত্রেই হতে পারে:

এক:

সে যদি সালাতকে অস্বীকার করে, সালাতফরজহওয়াকে মেনে না নেয় তবে সে লোক কাফের- এ ব্যাপারে কোন দ্বিমত নেই। কারণ সে ইসলামের ভিতরে নেই। তাকে আগে ইসলামে প্রবেশ করতে হবে, এরপর ইসলামেরআরকান ও ওয়াজিবসমূহপালন করতে হবে। আর কাফের থাকা অবস্থায় সে যে সালাতগুলো ত্যাগ করেছে সেগুলোর কাযা আদায় করা তার উপর ওয়াজিব নয়।

দুই:

সে যদি অবহেলা বা অলসতাবশত সালাত ত্যাগ করে, তবে তার কাযা আদায় শুদ্ধ হবে না। কারণ সে যখন সালাত ত্যাগ করেছিলতখন তার কোন গ্রহণযোগ্য ওজর ছিল না।আল্লাহ তো সুনির্ধারিত ও সুনির্দিষ্টসময়ে নামায আদায় করাকে তার উপরফরজকরেছেন।আল্লাহ্‌ তা‘আলা বলেন :

“নিশ্চয়ই নির্ধারিত সময়ে সালাত আদায় করা মু’মিনদের জন্য অবশ্য কর্তব্য।”[সূরানিসা, ৪:১০৩]অর্থাৎ নামাযের সুনির্দিষ্ট সময় আছে।আরেকটি দলীল হলো রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী:“যেব্যক্তি এমন কোন কাজ করবে যা আমাদের শরিয়তভুক্ত নয়- তবেতাপ্রত্যাখ্যাত।”[হাদিসটি বর্ণনা করেছেন ইমাম বুখারী (২৬৯৭)ও মুসলিম (১৭১৮)]

শাইখ আব্দুলআযীযইবনে বায (রাহিমাহুল্লাহ) কে প্রশ্ন করা হয়েছিল: আমি ২৪ বছর বয়সের আগে সালাত আদায় করিনি।এখন আমি প্রতি ফরজসালাতের সাথে আরেকবারফরজ সালাত আদায় করি। আমার জন্য কি তা করা জায়েয? আমি কি এভাবেই চালিয়ে যাব নাকি আমার উপর অন্য কোন করণীয় আছে?

তিনি বলেন:

“যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে সালাত ত্যাগ করে,সঠিক মতানুসারে তার উপর কোন কাযা নেই। বরং তাকে আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে।কারণ সালাত ইসলামের একটি রুকন বা স্তম্ভ।সালাতত্যাগ করা ভয়াবহ অপরাধসমূহের একটি।বরং ইচ্ছাকৃতভাবে সালাতত্যাগ করা ‘বড় কুফর’-আলেমগণের দুইটি মতের মধ্যে এ মতটি অধিক বিশুদ্ধ। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতেসাব্যস্তহয়েছে যে তিনি বলেছেন:“আমাদের ও তাদের (বিধর্মীদের) মাঝে পার্থক্য হলো সালাত। তাই যে ব্যক্তি সালাত ত্যাগ করল সে কুফরিকরলো।”[ইমাম আহমাদ ও সুনানের সংকলকগণ সহীহ সনদে বুরাইদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে হাদিসটি বর্ণনাকরেছেন]

এবং তিনি আরো বলেছেন:“কোন ব্যক্তি এবং শিরকও কুফরে পতিত হওয়ার মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত ত্যাগ করা।”[হাদিসটি ইমাম মুসলিম তাঁর সহীহ গ্রন্থে জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণনাকরেছেন। সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ে এ ব্যাপারে আরও অনেক হাদিস রয়েছেযাতে এ ব্যাপারে ইঙ্গিত পাওয়া যায়]

প্রিয় ভাই, এক্ষেত্রে আপনার উপর ওয়াজিব হলো আল্লাহরনিকট সত্যিকার অর্থেতওবা করা।আর তা হলো-(১)পূর্বে যা গত হয়েছে তার জন্যঅনুতপ্ত হওয়া (২)সালাত ত্যাগ একেবারে ছেড়ে দেয়াএবং (৩)এ মর্মে দৃঢ় সংকল্প করা যে,এ কাজে আপনি আর কখনও ফিরে যাবেন না।আর আপনাকে প্রতি সালাতের সাথে বা অন্য সালাতের সাথে কাযা আদায় করতে হবে না। বরং আপনাকে শুধু তওবা করতে হবে।সকল প্রশংসা আল্লাহ’র জন্য। যে ব্যক্তি তওবা করে আল্লাহ তার তওবা কবুল করেন।আল্লাহতা‘আলা বলেছেন:“হে মু’মিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর নিকট তওবা করো,যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।”[২৮ আন-নূর:৩১]

আর নবী সাল্লাল্লাহু‘আলাইহিওয়াসাল্লাম-বলেন:“পাপ থেকে তওবাকারী ঐ ব্যক্তির ন্যায় যার মূলতঃই কোন পাপ নেই।”

তাই আপনাকে সত্যিকার অর্থে তওবা করতে হবে। নিজের নফসেরসাথে হিসাব-নিকাশ করতে হবে।সঠিক সময়ে জামাতের সাথে সালাত আদায়ের ব্যাপারে সদা-সচেষ্ট থাকতে হবে। আপনার দ্বারা যা যা হয়ে গেছে -সে ব্যাপারে আল্লাহর কাছে মাফ চাইতে হবে এবং বেশি বেশি ভাল কাজ করতে হবে। আর আপনাকে কল্যাণের সুসংবাদ জানাই, আল্লাহতা‘আলা বলেছেন:“আর যে তওবা করে, ঈমান আনে, সৎকর্ম করে এবং হিদায়েতের পথ অবলম্বন করে, নিশ্চয়ই আমি তার প্রতি ক্ষমাশীল।”[সূরা ত্বহা, ২০:৮২]
সূরা আল-ফুরক্বান এ শিরক, হত্যা, জিনা (ব্যভিচার) উল্লেখ করার পর আল্লাহ তাআলা বলেন:“আর যে তা করল সে পাপ করল। কিয়ামাতের দিন তার শাস্তি দ্বিগুণ করে দেয়া হবে এবং সে সেখানে অপমানিত অবস্থায় চিরকাল অবস্থান করবে। তবে ঐ ব্যক্তি ছাড়া যে তওবা করেছে, ঈমান এনেছে এবং ভাল কাজ করেছে; আল্লাহ তাদের খারাপ কাজসমূহকে ভাল কাজে পরিবর্তন করে দিবেন। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ মহা ক্ষমাশীল, পরম দয়াময়।”[সূরা আল-ফুরক্বান, আয়াত ২৫:৬৯-৭০]

আমরা আল্লাহ’র কাছেপ্রার্থনা করছি তিনি যেন আমাদেরকে ও আপনাকে তাওফিক দান করেন, বিশুদ্ধ তওবা নসীব করেন ও সৎ পথেঅবিচলরাখেন।”[মাজমূফাত্‌ওয়া শাইখ বিন বায(১০/৩২৯,৩৩০)]

দ্বিতীয়ত:

রোজা কাযা করার প্রসঙ্গে:

আপনি যে সময় নামায পড়তেন না সে সময় যদি আপনি রোজাও না রেখে থাকেন তাহলে সেসব দিনের রোজার কাযা আদায় করা আপনার উপর ওয়াজিব নয়। কারণ নামায পরিত্যাগকারী কাফের, অর্থাৎ মুসলিম মিল্লাত হতে বহিষ্কারকারী বড় কুফরে লিপ্ত। যেমনটি ইতিপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।আর কোন কাফের যদি ইসলাম গ্রহণ করে তাহলে কুফরি অবস্থায় সে যে ইবাদতগুলো ত্যাগ করেছে সেগুলোর কাযা করা তার জন্য বাধ্যতামূলক নয়।

আর যদি আপনার রোজা না রাখাটা যে সময় নামায পড়া শুরু করেছেন সে সময়েহয়ে থাকে তবে এক্ষেত্রে সম্ভাব্য শুধু দুটো অবস্থা হতে পারে:

এক:

আপনি রাত হতেরোজারনিয়্যত করেননি।বরং রোযা না রাখারসংকল্প ছিল। এক্ষেত্রে আপনার এ রোজারকাযা আদায় শুদ্ধ হবে না। কারণ আপনি কোন গ্রহণযোগ্য ওজরছাড়া শরিয়ত নির্ধারিত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করণীয় ইবাদত ত্যাগ করেছেন।

দুই:

আপনি রোজা শুরু করার পর তা ভেঙ্গে ফেলেছেন।এক্ষেত্রে আপনার উপর কাযাআদায় করা ওয়াজিব। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামযখন রমজান মাসে দিনের বেলায় যৌনমিলনকারী ব্যক্তিকে কাফফারা আদায় করার আদেশ দিলেনতখন বললেন:“আপনি সে দিনের পরিবর্তে একদিন রোযা পালন করুন।”[এ হাদিসটি বর্ণনা করেছেন আবু-দাউদ (২৩৯৩), ইবনে মাজাহ (১৬৭১) এবং আলবানী “ইরওয়াউল গালীল” (৯৪০)এ হাদিসটিকে সহীহ হিসেবে উল্লেখ করেছেন]

একবার শাইখ ইবনে উছাইমীন রাহিমাহুল্লাহকে রমজান মাসে দিনের বেলায়কোন ওজরছাড়া রোযা ভঙ্গ করা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল।

উত্তরে তিনি বলেন:

“রমজান মাসে দিনের বেলা কোন ওজর ছাড়া রোযা ভঙ্গ করা কবীরা গুনাহ। এর দ্বারা সে ব্যক্তি ফাসিক্বহয়ে যাবে।তার উপর আবশ্যকীয় হচ্ছে- আল্লাহর কাছে তওবা করে নেয়া, যেদিনের রোযা ভঙ্গ করেছিল সেইদিনের রোযার কাযা আদায় করা অর্থাৎসে যদিরোযারাখার পর দিনের মাঝখানে কোনো ওজর ছাড়া রোযা ভঙ্গ করে থাকে সেদিনের রোযার কাযা আদায় করতে হবে। যেহেতু সে রোযা শুরু করেছিলএবংরোযা রাখার ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিল এবং তা ফরজএই বিশ্বাসে তাতে প্রবেশ করেছে। তাই তার উপর এর কাযাআদায় করা বাধ্যতামূলক মান্নতেরন্যায়।

আর যদি কোন ওজর ছাড়া ইচ্ছাকৃতভাবে শুরু থেকেইরোযা না রাখে তবে অগ্রগণ্য মতানুসারে তাকে এ রোযার কাযা আদায় করতে হবে না। কারণ সে এর দ্বারা কোন উপকার পাবে না।যেহেতু এ আমল তার পক্ষ থেকে কবুল করা হবে না। এক্ষেত্রে মূলনীতিটি হলো- সকল ইবাদত যা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্ধারিত, তা কোন ওজর ছাড়া সেই নির্দিষ্ট সময় থেকে বিলম্বে পালন করা হলে, তা তার থেকে কবুল করা হবে না। এর দলীল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “যে ব্যক্তি এমন কোন কাজ করল যা আমাদের শরিয়তের অন্তর্ভুক্ত নয়, তবে তা প্রত্যাখ্যাত।” কেননাএটি আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা লঙ্ঘন করার মধ্যে পড়ে। আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা লঙ্ঘন করা জুলম (অবিচার)। আর জালিম ব্যক্তির কাছ থেকে সেই জুলম কবুল করাহবে না।আল্লাহ তা‘আলা বলেন:“আর যারা আল্লাহ নির্ধারিত সীমারেখা লঙ্ঘন করে তারা হলো জালিম।”[সূরা বাক্বারাহ, ২:২২৯]

আর এটি এজন্য যে, সে ব্যক্তি যদি এই ইবাদত নির্ধারিত সময় হবার পূর্বেই পালনকরতো তবে তা তার কাছ থেকে কবুল করা হত না। একইভাবেসে যদি তা সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরে পালন করে তবে তাও তার কাছ থেকে কবুল করা হবে না। তবে যদি সে ওজরগ্রস্ত হয় সেটা ভিন্ন কথা।” সমাপ্ত। [মাজমূ‘ফাত্‌ওয়া আশ-শাইখ ইবনে ‘উছাইমীন (১৯/প্রশ্ন নং ৪৫)]

আর তার উপর ওয়াজিব হলো সকল পাপ কাজ থেকে আল্লাহর কাছেসত্যিকার তওবা করা(উপরে উল্লেখিত বিন বাযের ফাত্‌ওয়ায় তওবার তিনটি শর্তসহ)ওয়াজিব কাজসমূহ সময়মত পালন অব্যাহত রাখা,খারাপ কাজ ত্যাগ করা, বেশি বেশি নফল ও নৈকট্য লাভ হয় এমন কাজ করা।

আর আল্লাহই সবচেয়ে বেশি জানেন।

সূত্র: ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব