আলহামদু লিল্লাহ।.
যেমনটি প্রশ্নে উল্লেখ করা হয়েছে বাস্তবতা যদি সে রকমই হয়ে থাকে তাহলে এ মানতটি কোন নেক মানত নয়। বরং এটি রাগ ও ক্রোধের মানত। এ মানতের উদ্দেশ্য হচ্ছে—বোনদের সাথে কথা বলা থেকে নিজেকে বিরত রাখা। সুতরাং এ মানত শপথের পর্যায়ভুক্ত। অতএব, আপনার উপর শপথ ভঙ্গের কাফ্ফারা আবশ্যক। আপনাকে রোযা রাখতে হবে না। বরং এটি রাগ ও ক্রোধজনিত মানতের বিধি-বিধানের অন্তর্ভুক্ত। এ ধরণের মানতের হুকুম শপথ ভঙ্গের হুকুমই।
সুতরাং আপনার উপর আবশ্যক হল—দশজন মিসকীনকে খাবার খাওয়ানো কিংবা দশজন মিসকীনকে পোশাক দেওয়া কিংবা একজন দাস মুক্ত করা। এটাই হচ্ছে—শপথ ভঙ্গের কাফ্ফারা। যদি আপনি দশজন মিসকীনকে দুপুরের বা রাতের খাবার খাওয়ান কিংবা তাদেরকে প্রত্যেককে অর্ধ স্বা করে দেশীয় খাদ্য দিয়ে দেন সেটাই যথেষ্ট। কিংবা তাদেরকে পোশাক দিলেও যথেষ্ট।
অনুরূপভাবে যদি কেউ বলে: অমুকের সাথে কথা বললে আমার উপর হজ্জ আদায় করা আবশ্যক। কিংবা বলে যে, তার উপর এটা ওটা আবশ্যক অমুকের সাথে কথা বললে। এসব ক্ষেত্রে তার উপর শপথ ভঙ্গের কাফ্ফারা আবশ্যক। কেননা এটা ক্রোধ ও রাগের মানত। যার দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে—নিজেকে ঐ জিনিস থেকে বিরত রাখা।[সমাপ্ত]
মাননীয় শাইখ বিন বায (রহঃ)
ফাতাওয়া নুরুন আলাদ দারব (৪/১৯৭৮)]