শুক্রবার 21 জুমাদাল আউওয়াল 1446 - 22 নভেম্বর 2024
বাংলা

জনৈক মেয়ের পরিবার কর্তৃক তার জন্মদিন পালন উপলক্ষে তাকে প্রদেয় উপহার গ্রহণ ও মিষ্টান্ন খাওয়ার বিধান

প্রশ্ন

আলহামদুলিল্লাহ, আমি আমার জন্মদিন পালন করি না। কিন্তু আমাকে যদি জন্মদিনে গিফট দেয়া হয় আমি কি করব? আমি সেটা গ্রহণ করব; নাকি ফেরত দিব? উল্লেখ্য, আমি যদি বান্ধবীর দেয়া গিফট গ্রহণ না করি হতে পারে সে অভিমান করবে। অধিকাংশ সময় আমার পরিবার মিষ্টান্ন প্রস্তুত করার মাধ্যমে এ দিনটি পালন করে থাকে; সেক্ষেত্রে আমি কি করব? সে মিষ্টান্ন খাওয়া কি আমার জন্য জায়েয হবে? আমার জন্মদিনের একদিন পরে যদি আমাকে কেউ কোন কিছু গিফট করে তখন আমি কি করব? উল্লেখ্য, সে গিফটটি শুধু এ দিন উপলক্ষে কেনা হয়েছে; অন্য কোন কারণে নয়। এমতাবস্থায়, সেটা গ্রহণ করা কি জায়েয হবে?

আলহামদু লিল্লাহ।.

কোন মানুষের জন্মদিন পালন করা; যা বছর ঘুরে বার বার ফিরে আসে– নব উদ্ভাবিত বিদাত ও বিধর্মীদের অনুকরণ। তাই এ দিনটি পালন করা হারাম; সেটা ইবাদত হিসেবে হোক কিংবা অভ্যাস হিসেবে হোক।

আপনি এ দিনটি পালন না করে ভাল করেছেন। আমরা আল্লাহ্‌র কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আপনাকে এর উত্তম প্রতিদান দেন।

যদি আপনার পরিবার এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনার কর্তব্য দুটি:

এক. আপনি তাদেরকে উপদেশ দিবেন এবং ব্যাখ্যা করে জানাবেন যে, এটি আমাদের ধর্মীয় অনুশাসন বিরোধী কাজ।

দুই. এই অনুষ্ঠানে যোগদান না করা এবং আপনার সন্তুষ্টি ও সম্মতি বুঝা যায় এমন কিছু থেকে দূরে থাকা। এ নীতিটি যে গিফটগুলো দেয়া হয় এবং যে মিষ্টান্ন বা খাবার তৈরী করা হয় সেগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে আপনাকে সহযোগিতা করবে। সাধারণ নীতি হচ্ছে– এ উপলক্ষে আপনাকে যে উপহার দেয়া হয় সেগুলো গ্রহণ না করা; চাই সে উপহার ঐ দিনে দেয়া হোক কিংবা এর পরে দেয়া হোক। কেননা, এ উপহার গ্রহণ করার মধ্যে এ অনুষ্ঠানের প্রতি সম্মতি পাওয়া যায় এবং এ রীতি অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে সহযোগিতা পাওয়া যায়। তাই আপনি সুন্দর আচরণ দিয়ে এ উপহার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে পারেন। যদি আপনি সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার আশংকা করে থাকেন, তাহলে আপনি এটি পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিন যে, আপনি শুধু তার বন্ধুত্বের কারণে উপহারটি গ্রহণ করেছেন; এ বিদাতী উপলক্ষকে কেন্দ্র করে নয় এবং তাকে এটাও জানিয়ে দিবেন যে, ভবিষ্যতে আপনি এ ধরণের উপহার গ্রহণ করবেন না এবং তার জন্মদিবসে তাকে উপহার দিবেন না।

পক্ষান্তরে, এ উপলক্ষে যে খাবার বা মিষ্টান্ন তৈরী করা হয়েছে সেগুলো বর্জন করা তাগিদপূর্ণ। কেননা সেগুলো তৈরী করা ও খাওয়া সে অনুষ্ঠান উদযাপনেরই একটি অংশ। আপনি সে খাবার না-খাওয়ার অর্থ হচ্ছে– এই বিদাতের প্রকাশ্য প্রতিবাদ করা। এ আচরণটি তাদের বিদাতটি ছেড়ে দেওয়ার কারণ হতে পারে।

আরও জানতে দেখুন: 9485 নং, 90026 নং, 26804 নং ও 89693 নং প্রশ্নোত্তর।

আল্লাহ্‌ই সর্বজ্ঞ।

সূত্র: ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব