আলহামদু লিল্লাহ।.
এক:
যদি কারো সম্পদ নিসাব পরিমাণে পৌঁছে; কিন্তু এর বর্ষপূর্তি না হয়; এরপর এ অর্থ দিয়ে ব্যবসায়িক সামগ্রী ক্রয় করা হয় এবং এ সম্পদের বর্ষপূর্তি হয় তাহলে এতে যাকাত ফরয হবে। আর এক্ষেত্রে ব্যবসায়িক সামগ্রী কেনার সময় থেকে নতুন বর্ষ গণনা করা হবে না; বরং যেই নগদ অর্থ দিয়ে ব্যবসায়িক সামগ্রী ক্রয় করা হয়েছে সেই নগদ অর্থের বছর পূর্ণ হতে যেটুকু সময় বাকী আছে গণনায় সেটা পূর্ণ করা হবে।
ইমাম নববী বলেন:
“যদি সেটা (ব্যবসায়িক সামগ্রী)-র মালিক হয় নিসাব পরিমাণ নগদ অর্থের মাধ্যমে; তাহলে এর বর্ষপূর্তি হবে নগদ অর্থের মালিক হওয়ার সময় থেকে...”।[আল-মিনহাজ মাআ’ হাশিয়া ‘মুগনিল মুহতাজ’ (২/১০৭) থেকে সমাপ্ত]
বুহুতী (রহঃ) বলেন:
“যদি বছরের কোন এক সময় নিসাব কমে যায় কিংবা নিসাবের সম্পদকে যদি অন্য কোন প্রকারের সম্পদ দিয়ে বিক্রি করে দেয়; তাহলে বর্ষের হিসাবে বিচ্ছেদ ঘটবে। তবে যদি ব্যবসায়িক সামগ্রীকে মুদ্রা (স্বর্ণ, রৌপ্য বা নগদ অর্থ) দিয়ে পরিবর্তন করে কিংবা ব্যবসায়িক সামগ্রী দিয়ে পরিবর্তন করে; তাহলে এই পরিবর্তনের মাধ্যমে বর্ষের হিসাবে বিচ্ছেদ ঘটবে না। কেননা (নিসাব গণনার ক্ষেত্রে) এগুলোর একটিকে অপরটির সাথে মেলানো হয় বিধায় এগুলো সব এক জাতের বিধানভুক্ত।”[কাশ্শাফুল ক্বিনা (২/১৭৮) থেকে সংক্ষেপিত ও সমাপ্ত]
দুই:
আর ব্যবসায়িক সামগ্রীর যাকাত দেয়ার পদ্ধতি হলো: বছর শেষে আপনার কাছে যে সব পণ্য আছে সকল সামগ্রীর মূল্য সেই দিনের বাজারে বিক্রি দরে নির্ধারণ করে শতকরা ২.৫ হারে যাকাত পরিশোধ করা।