আলহামদু লিল্লাহ।.
বিবেক শরয়ি দায়িত্বারোপের কারণ।
পাগলামি হল: বিবেকের বিকৃতি; যা কর্ম ও কথাকে বিবেকসিদ্ধ পথে পরিচালিত হতে বাধা দেয়; কদাচিৎ ব্যতীত।
কারো কারো মতে পাগলামি হল: ভালমন্দের মাঝে পার্থক্য নির্ণয়ক ও পরিণতি-অবগতি শক্তির বিকৃতি; তথা এ শক্তির প্রভাবগুলো দৃশ্যমান না হওয়া এবং এর কার্য্য বিকল থাকা।[দেখুন: আল-মাওসুআ আল-ফিকহিয়্যা (১৬/৯৯)]
পাগল সংক্রান্ত বহু বিধি-বিধান ফিকাহর অধ্যায়গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এ বিধানগুলোর কোনটি শারীরিক ইবাদত সংশ্লিষ্ট। যেমন- পবিত্রতা অর্জন, নামায, রোযা, হজ্জ। পাগল এসব ইবাদত পালন করলে সহিহ হবে না।
পাগলের সম্পদ থাকলে তার কাছ থেকে যাকাত নেয়া হবে। পাগলের পক্ষ থেকে তার অভিভাবক তা আদায় করবেন। অনুরূপভাবে পাগলের কাছ থেকে জরিমানা ও ক্ষতিপূরণ তলব করা হবে; যদি সে কোন কিছু নষ্ট করে থাকে। যেহেতু এগুলো- خطاب التكليف (শরয়ি দায়িত্বারোপ) শ্রেণীয় বিধান নয়; বরং خطاب الوضع (দায়িত্বারোপের প্রেক্ষাপট) শ্রেণীয় হুকুম।
পাগলের পিতামাতার কোন একজন মুসলিম হলে তাকে মুসলিম গণ্য করা হবে, তার জন্য জান্নাত আশা করা হবে; যেমনটি 14392 নং প্রশ্নোত্তরে আলোচিত হয়েছে।
পাগলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। তার বেচাকেনা সহিহ নয়। সাধারণভাবে তার কোন বাচনিক কর্ম সহিহ নয়; যেমন তালাক্ব ও উপহার প্রদান ইত্যাদি।
বিয়ের ক্ষেত্রে পাগলামি দোষ হিসেবে ধর্তব্য; যার কারণে বিয়ে ভেঙ্গে দেয়া আবশ্যক।
পাগলের কিসাস (হত্যার বদলে হত্যার শাস্তি) কার্যকর করা হবে না, তার উপর ব্যভিচার ও অন্যান্য দণ্ড কার্যকর করা হবে না।
পাগল উত্তরাধিকারী সম্পত্তি পাবে। পাগলের অভিভাবক পাগলের কল্যাণানুযায়ী তার সম্পদ ব্যয় করবে। পাগল যদি সম্পদ রেখে মারা যায় তার সম্পদের উত্তরাধিকারী হওয়া যাবে।
উল্লেখিত মাসয়ালাগুলোর বেশিরভাগ পাবেন "আল-মাওসুআ আল-ফিকহিয়্যা" গ্রন্থে (১৬/৯৯-১১৬)।
আরও দেখুন: সাফার আহমাদ আল-হামদানীর লিখিত " الجنون وأنواعه في المنظور الإسلامي- دراسة عصرية" গ্রন্থে:
http://www.alukah.net/publications_competitions/0/41911/
আরও দেখুন: أثر الجنون في التصرفات القولية والفعلية في الشريعة الإسلامية
https://www.jamaa.net/books.library/?i=39361#main
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।