আলহামদু লিল্লাহ।.
মূল বিধান হচ্ছে: মিথ্যা হারাম, নিন্দনীয় এবং নিষিদ্ধ; ব্যতিক্রম কিছু অবস্থা ছাড়া। সেসব ব্যতিক্রম অবস্থার মধ্যে আপনার অবস্থাটি পড়ে না। কেননা আপনার অবস্থাটি অন্যের অধিকারের সাথে সম্পৃক্ত; সেটি হচ্ছে রাষ্ট্র। রাষ্ট্র যাদেরকে প্রবেশের অনুমতি দিবে তাদের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত নির্ধারণ করেছে। তাই এই শর্তগুলোর ক্ষেত্রে মিথ্যা বলা ও ছল-চাতুরি করা নাজায়েয।
এটাই মূল বিধান। কিছু ব্যতিক্রম অবস্থা রয়েছে; যেগুলোর ক্ষেত্রে খাস ফতোয়া রয়েছে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “নিশ্চয় সত্য নেকীর পথ দেখায়। নেকী জান্নাতের দিকে নিয়ে যায়। নিশ্চয় ব্যক্তি সত্য বলতে থাকে এক পর্যায়ে অতিশয় সত্যবাদী হয়ে যায়। নিশ্চয় মিথ্যা পাপের পথ দেখায়। পাপ জাহান্নামে নিয়ে যায়। নিশ্চয় ব্যক্তি মিথ্যা বলতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে আল্লাহ্র কাছে মিথ্যাবাদী হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়।”[সহিহ বুখারী (৫৬২৯) ও সহিহ মুসলিম (৪৭১৯)]
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন: “প্রতারণা ও ধোঁকাবাজি জাহান্নামে।”[বাইহাক্বীর ‘শুআবুল ঈমান’, আলবানী ‘সহিহুল জামে’ গ্রন্থে (৬৭২৫) হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন এবং বুখারী তাঁর সহিহ গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘তা’লীক’ হিসেবে এই ভাষ্যে বর্ণনা করেছেন: “ধোঁকাবাজি জাহান্নামে। যে ব্যক্তি এমন কোন আমল করবে যা আমাদের শরিয়তে নেই সেটা প্রত্যাখ্যাত।”]
দুই:
যে ব্যক্তি হারাম মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে কোন দেশে প্রবেশ করার পর সেই দেশে কোন বৈধ চাকুরী করে তার সে চাকুরী করা হারাম হবে না; যদি চাকুরীদাতা এমন কোন শর্ত না করে যে, সেই দেশে বৈধভাবে প্রবেশ করতে হবে। এমনটি শর্ত করে থাকলে তার সাথে ধোঁকাবাজি করা ও মিথ্যা বলা হারাম।
আল্লাহই সর্বজ্ঞ।