আলহামদু লিল্লাহ।.
আমরা উল্লেখিত হাদিসটির কোন ভিত্তি জানি না। হাদিসটি বানোয়াট হওয়ার আলামতগুলো এতে সুস্পষ্ট। সুতরাং এ উক্তিটিকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উক্তি বলা জায়েয হবে না। কেননা তা হবে তাঁর নামে মিথ্যা বলা। তাঁর নামে মিথ্যা বলা হারাম, কবিরা গুনাহ (মহাপাপ)। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “যে ব্যক্তি আমার নামে এমন কোন উক্তি বর্ণনা করে, তার ধারণা হয় যে, উক্তিটি মিথ্যা; তাহলে সে মিথ্যাবাদীদের একজন”[সহিহ মুসলিম এর মুকাদ্দিমা (১/৭)] ইমাম নববী (রহঃ) বলেন: এ হাদিসে মিথ্যা ও মিথ্যা বলার ভয়াবহতা তুলে ধরা হয়েছে। যে ব্যক্তির প্রবল ধারণা হচ্ছে যে, তার বর্ণিত কথা মিথ্যা এরপরও সে উক্ত কথাটি বর্ণনা করে সে মিথ্যাবাদী। সে মিথ্যাবাদী হবে না কেন সে তো এমন একটি সংবাদ দিচ্ছে বাস্তবে যা ঘটেনি?[শরহে মুসলিম থেকে সমাপ্ত (১/৬৫)]
নিছক শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের কারণে বান্দার ওপর জাহান্নামের আগুন হারাম হয়ে যায় মর্মে এ উক্তিতে যে শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেটা বাড়াবাড়ি ও অতিরঞ্জন; এ ধরণের অতিরঞ্জনের কারণে কোন হাদিস বা বাণীকে রাসূলের নামে বানোয়াট কথা হিসেবে সাব্যস্ত করার পক্ষে দলিল দেয়া হয়। ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) বলেন: “মাওজু বা জাল হাদিসগুলোর মধ্যে রয়েছে অন্ধকারাচ্ছন্নতা, ভাষাগত দুর্বলতা ও শীতল অতিরঞ্জন; যে কারণগুলো উক্ত বাণীগুলোকে বানোয়াট ঘোষণা করে।[‘আল-মানার আল-মুনিফ’ পৃষ্ঠা-৫০ থেকে সমাপ্ত]
আল্লাহই ভাল জানেন।