আলহামদু লিল্লাহ।.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কয়েকজন ছেলেমেয়ে ছিল। তাদের মধ্যে প্রথম সন্তান ছিল কাসেম। তার নামেই তাঁর কুনিয়ত “আবুল কাসেম”। কাসেম শিশু অবস্থায় মারা গিয়েছে। কারো কারো মতে, সে বাহনে চড়া ও ভূমির উপরে হাঁটার বয়স পর্যন্ত বেঁচেছে। এরপর যয়নব; কারো কারো মতে, যয়নব কাসেমের চেয়ে বড়। এরপর রুকাইয়্যা, উম্মে কুলসুম ও ফাতিমা। এদের প্রত্যেকে তার বোনের চেয়ে বড় এমন অভিমত রয়েছে। ইবনে আব্বাস থেকে এক বর্ণনা মতে, তিনজনের মধ্যে রুকাইয়্যা সবচেয়ে বড় এবং উম্মে কুলসুম সবচেয়ে ছোট। এরপর তাঁর ছেলে আব্দুল্লাহ্র জন্ম হয়েছে। আব্দুল্লাহ্ কি নবুয়তের পরে জন্মগ্রহণ করেছে; নাকি পরে এ নিয়ে মতভেদ আছে। কোন কোন আলেম নবুয়তের পরে জন্মগ্রহণ করার অভিমতকে সঠিক বলেছেন। সে-ই কি আত্-তাইয়্যেব ও আত্-তাহির; নাকি এরা অন্য কেউ তা নিয়ে দুটো অভিমত আছে। সঠিক মতানুযায়ী এ দুটো আব্দুল্লাহ্র দুইটি লকব (উপনাম)। আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ। এরা সকলেই খাদিজা (রাঃ) এর সন্তান। তাঁর অন্য কোন স্ত্রীর ঘরে সন্তান জন্মগ্রহণ করেনি। এরপর হিজরী আট সালে তাঁর বাঁদী মারিয়া আল-কিবতিয়্যার ঘরে ইব্রাহিম জন্মগ্রহণ করেছে।[যাদুল মাআদ (১/১০৩)]
অতএব, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সকল সন্তান তাঁর স্ত্রী মুমিনদের মাতা খাদিজা (রাঃ)-এর উদরজাত; কেবল ইব্রাহিম ছাড়া। ইব্রাহিম জন্মগ্রহণ করেছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাঁদী মারিয়ার উদর থেকে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে মারিয়াকে উপহার হিসেবে পাঠিয়েছিল ইস্কান্দারিয়ার বাদশাহ ও কিবতীদের প্রধান ‘আল-মুক্বাওক্বাস’। সঠিক মতানুযায়ী তাঁর সন্তানদের সংখ্যা সাতজন; তিনজন ছেলে ও চারজন মেয়ে। ছেলেরা হলো:
১। কাসেম
২। আব্দুল্লাহ্
৩। ইব্রাহিম
আর মেয়েরা হলো:
১। যয়নব
২। রুকাইয়্যা
৩। উম্মে কুলসুম
৪। ফাতিমা
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সকল সন্তান তাঁর জীবদ্দশায় মৃত্যুবরণ করেছে; কেবল ফাতিমা ছাড়া। ফাতিমা তাঁর পরে মৃত্যুবরণ করেছেন। আল্লাহ্ তার প্রতি সন্তুষ্ট হোন।