আলহামদু লিল্লাহ।.
আল্লাহ তাআলা ফিতরা ফরয করেছেন, ফিতরাকে গরীব-মিসকীনের হক হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন এবং ফিতরাকে আদায়কারীর জন্য কৃপণতার দোষ থেকে পবিত্র হওয়ার মাধ্যম বানিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন: “আপনি তাদের সম্পদ থেকে যাকাত গ্রহণ করুন; যার মাধ্যমে আপনি তাদেরকে পবিত্র করবেন ও পরিশুদ্ধ করবেন।”[সূরা তাওবা, আয়াত: ১০৩]
সূতরাং ফিতরা আদায়কারীর উপর ফরয হচ্ছে- ভাল মন নিয়ে ফিতরা আদায় করা। যাকে ফিতরা দেয়া হচ্ছে, ফিতরা দেয়ার বদলে তার থেকে কোন উপকার গ্রহণের শর্তারোপ না করা।
এ কারণে আলেমগণ দ্ব্যর্থ ভাষায় উল্লেখ করেছেন: ঋণদাতা কর্তৃক ঋণগ্রহীতাকে ফিতরা দেয়া এবং সে ফিতরাকে পাওনা ঋণ হিসেবে দাতাকে ফেরত দেয়ার শর্ত করা জায়েয নেই।
ইবনুল কাইয়্যেম (রহঃ) বলেন:
“যদি ফিতরা প্রদান করে তার সম্পদ বাড়ানো ও ঋণ আদায়ের নিয়ত করে তাহলে জায়েয হবে না। কারণ যাকাত হচ্ছে- আল্লাহর অধিকার ও হকদারের অধিকার। তাই আদায়কারীকে সেটা প্রদান করা জায়েয হবে না; যাতে করে আদায়কারী তাৎক্ষণিক কিছু লাভ পায়।”
বিষয়টি আরও পরিষ্কার করার জন্য বলব: শরিয়তপ্রণেতা কোন বিনিময়ের বদলেও সেটা নিতে নিষেধ করেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “আপনি সেটা ক্রয় করবেন না; আপনার প্রদত্ত যাকাত আবার ফেরত নিবেন না।” অর্থাৎ কিনে নিলেও তিনি সেটাকে প্রদত্ত যাকাত ফেরত নেয়া হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। সুতরাং ফেরত নেয়ার নিয়তে যদি প্রদান করা হয় সেটার অবস্থা কি হতে পারে?[ইলামুল মুওয়াক্কিয়িন (৫/২৭১)]
প্রশ্নে উল্লেখিত শর্তটিও এ ধরণের একটি শর্ত। এটি একই ফিতরা কিংবা অনুরূপ ফিতরা প্রদানকারীর কাছে পুনরায় ফেরত আনার একটা কৌশল।
এ ধরণের ঐকমত্য থেকে বুঝা যায়: ফিতরা আদায়কারী কৃপণতার দোষ থেকে পবিত্র হয়নি। কারণ সে, অনুরূপ ফিতরা তাকে ফেরত দেওয়ার শর্তে ফিতরা প্রদান করেছে। এটাই তার কৃপণতার প্রমাণ।
আল্লাহই ভাল জানেন।