আলহামদু লিল্লাহ।.
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।ইতিকাফমানে হচ্ছে-অনবরত মসজিদে অবস্থান করা, মসজিদ ছেড়ে না যাওয়া।ইতিকাফএকটি মুস্তাহাব্ব সুন্নত; বিশেষতরমজানের শেষ ১০ দিনের ইতিকাফ।এটি ওয়াজিব নয়; যদি না কোন মুসলিম মান্নতের মাধ্যমে ইতিকাফকে নিজের উপর ওয়াজিব করে নেয়। মান্নত ছাড়া ইতিকাফ ওয়াজিব হয় না। দেখুন (48999) নং প্রশ্নের উত্তর। এ ক্ষেত্রে মূলনীতি হচ্ছে-মসজিদে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়এমন কোনো প্রয়োজন ছাড়া ইতিকাফকারীমসজিদ থেকে বের হতে পারবে না।যেমন অজু, গোসল, প্রাকৃতিক প্রয়োজনপূরণ ইত্যাদি। এর দলীল হচ্ছে-আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা এর হাদিস:নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ইতিকাফ করতেন তখন মানবীয়প্রাকৃতিক প্রয়োজন ছাড়া নিজ গৃহেফিরতেন না।[সহীহ মুসলিম (২৯৭)] আপনারযদিডাক্তারেরকাছেযাওয়াএকান্তপ্রয়োজনহয় এবং সে এপয়েন্টমেন্টরমজানেরপরেনেয়ারকোন সুযোগ না থাকেতবেআমার নিকট যা অগ্রগণ্য হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে সেটা হলো-মসজিদথেকেবেরহয়েডাক্তারেরসাথে দেখা করেপুনরায় মসজিদেফিরেআসলে ইতিকাফের কোন ক্ষতি হবে না। ইমাম নববীরাহিমাহুল্লাহ তাঁর লিখিত ‘আলমাজমূ’ (৬/৫৪৫) গ্রন্থে উল্লেখকরেছেনযেইতিকাফকারীঅসুস্থ এবং অসুস্থতারকারণেমসজিদেঅবস্থান করা তার জন্যকষ্টকরহয়েপড়ে; যেহেতুতারআলাদাবিছানা, খাদেম ও বারবারডাক্তারেরকাছেযাওয়ালাগে ইত্যাদি;তারজন্যমসজিদথেকেবেরহওয়াবৈধ।”সমাপ্ত শাইখইবনেউছাইমীনরাহিমাহুল্লাহ‘জালাসাতরামাদ্বানিয়াহ’(রমজানের আসর) (১৪১১হিজরিরসপ্তমআসর,পৃষ্ঠা-১৪৪) তে বলেছেন:“আর যার (ইতিকাফকারীর) ডাক্তারেরকাছেযাওয়ারপ্রয়োজনপড়েসেমসজিদথেকেবেরহতেপারবে।এছাড়াসেমসজিদেঅবস্থানকরবে।”সমাপ্ত আল্লাহইসবচেয়ে ভালো জানেন।