আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।
আমরা ফ্যামিলির ভাই-বোন প্রত্যেককে রুপার আংটি দিয়েছি। আংটির ভেতরের অংশে কিছু আরবী সংখ্যা অংকিত আছে। আংটিগুলো বিশেষভাবে রজব মাসে প্রস্তুতকৃত। আমি জানতে চাচ্ছি, এ ধরণের আংটি পরা কি ইসলামে আছে; নাকি নাই?
আলহামদু লিল্লাহ।.
পুরুষের জন্য রৌপ্যনির্মিত আংটি পরা জায়েয যেমনটি নারীদের জন্যেও জায়েয। ইমাম বুখারি (৬৫) ও মুসলিম (২০৯২) আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন: “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি চিঠি লিখলেন কিংবা লিখতে চাইলেন। তখন তাঁকে বলা হল: তারা সীলমোহর বিহীন কোন চিঠি পড়ে না। সে প্রেক্ষিতে তিনি একটি রুপার আংটি বানালেন। তাতে লেখা ছিল, ‘মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ (অর্থ- মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল)। আমি যেন তাঁর হাতে সে আংটির শুভ্রতা এখনো দেখতে পাচ্ছি।”
ইমাম নববী (রহঃ) তাঁর ‘আল-মাজমু’ (৪/৩৪০) গ্রন্থে বলেন: “বিবাহিত ও অবিবাহিত নারীর জন্য রুপার আংটি পরা বৈধ; যেমন তার জন্য স্বর্ণের আংটি পরা বৈধ। এটি সর্বসম্মত অভিমত। এটি যে, মাকরুহ নয়- সে ব্যাপারে কোন ইখতিলাফ নেই। খাত্তাবি বলেন: নারীর জন্য রুপার আংটি পরা মাকরুহ। কারণ এটি পুরুষের আলামত। তিনি বলেন: যদি কোন নারীর স্বর্ণের আংটি না থাকে তাহলে সে নারী রুপার আংটি পরতে পারেন তবে জাফরান কিংবা অন্য কোন রঙ দিয়ে এটিকে হলুদ করে নিবেন। খাত্তাবি যা বলেছেন: তা অসঠিক; ভিত্তিহীন। সঠিক মত হচ্ছে- এটি পরা নারীর জন্য মাকরূহ নয়।”
এরপর বলেন: “পুরুষের জন্য রুপার আংটি পরা জায়েয। সে পুরুষ কোন রাষ্ট্রীয় পদে থাকুন কিংবা না থাকুন। এটিও সর্বসম্মত অভিমত। পক্ষান্তরে সিরিয়ার জনৈক আলেম থেকে যে একটি মত বর্ণিত আছে যে- ‘রাষ্ট্রীয় পদাধিকারী কোন ব্যক্তি ছাড়া অন্যদের জন্য এটি পরা মাকরুহ’ এমন অভিমত বিচ্ছিন্ন, কুরআন-হাদিসের দলিল ও সলফে সালেহীনদের ইজমা দ্বারা প্রত্যাখ্যাত। আবদারি ও অন্য এক আলেম এ বিষয়ে ইজমা বর্ণনা করেছেন।”।[সমাপ্ত]
আংটির উপরে নকশা করা ও কোন কিছু লেখাও জায়েয। তবে রজব মাসের সাথে এটিকে খাস করার কোন দলিল নেই। যে ব্যক্তি আল্লাহর নৈকট্য লাভের বিশ্বাস নিয়ে রজব মাসে আংটি পরল কিংবা বিশ্বাস করল যে, এ মাসে আংটি পরার বিশেষ ফজিলত রয়েছে সে বিদআতে লিপ্ত হল ও খারাপ কাজ করল।
আংটির উপরে এ বিশ্বাস নিয়ে কোন কিছু লেখা যে, এটি ভাগ্য পরিবর্তন করবে, বদনজর দূর করবে, হিংসা-বিদ্বেষ রোধ করবে, জ্বিনকে তাড়াবে ইত্যাদি থেকে দূরে থাকা বাঞ্ছনীয়।
সারকথা হচ্ছে- সাধারণভাবে আংটি পরা ও আংটিতে নকশা করা জায়েয। তবে যদি আল্লাহর নৈকট্য হাছিলের জন্য আংটি পরা হয় কিংবা বিশেষ কোন একটি সময়কে আংটি পরার জন্য খাস করে নেয়া হয় কিংবা বরকতের নিয়তে আংটি পরা হয় কিংবা তাবিজ হিসেবে আংটি পরা হয় এগুলোর মধ্যে শরয়ি নিষেধাজ্ঞা আছে।
আল্লাহই ভাল জানেন।